লিথুয়ানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার দুটি সামরিক বিমানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে লিথুয়ানিয়া, এবং রাশিয়ার কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছে।
দেশটির সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে।
লিথুয়ানিয়ার সরকারি গণমাধ্যম এলআরটি দেশটির সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলের সীমান্ত সংলগ্ন কিবারতাই শহরের কাছে এই ঘটনা ঘটে। একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান এবং একটি আইএল-৭৮ জ্বালানি ভরার বিমান লিথুয়ানিয়ার আকাশসীমায় প্রায় ৭০০ মিটার প্রবেশ করে এবং প্রায় ১৮ সেকেন্ড অবস্থান করার পর বেরিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বিমান দুটি কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে জ্বালানি ভরার প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছিল।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় লিথুয়ানিয়ায় মোতায়েন থাকা ন্যাটোর আকাশ প্রতিরক্ষা বিমানগুলো দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ন্যাটোর আকাশ প্রতিরক্ষা মিশনের আওতায় থাকা স্পেনীয় বিমানবাহিনীর দুটি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় এবং তারা বর্তমানে আকাশে টহল দিচ্ছে।
লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভিলনিয়াসে নিযুক্ত রুশ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কূটনীতিককে তলব করে মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার হাতে একটি ‘প্রতিবাদপত্র’ তুলে দেওয়া হয় এবং লিথুয়ানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রাশিয়াকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়।
ভিলনিয়াস জানিয়েছে, তারা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারদের পাশাপাশি উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিলকে (এনএসি) বিষয়টি অবহিত করেছে। এই ঘটনাটি ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে বাল্টিক অঞ্চলে জোটের সীমান্তের কাছে মস্কোর সামরিক তৎপরতার জবাবে পশ্চিমা মিত্ররা আকাশ প্রতিরক্ষা এবং নজরদারি বাড়িয়েছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন