পাক-ভারত আগ্রাসনে উভয় পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ভারতের মূল্যবান বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান। এসব হারিয়ে হতাশায় কাটছে নরেন্দ্র মোদির প্রতিটি দিন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একতরফা আগ্রাসনে ছয়টি যুদ্ধবিমান হারানো, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্যর্থতা ও সামরিক পরাজয়ের মুখোমুখি হয়ে এখন কূটনৈতিক পথে হাঁটছে ভারত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের পথ ছেড়ে নয়াদিল্লি এবার কৌশলী কূটনীতির পথ বেছে নিয়েছে। ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলের সদস্যসহ মোট ৭টি সংসদীয় কূটনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। দলগুলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশগুলো সফর করবে, যার মূল উদ্দেশ্য হবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে ভারতের অবস্থান বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করা।
বিদেশি সরকার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করবে দলগুলো। চলতি মাসের শেষ দিকে এই সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, প্রায় ৭০টি দেশের প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্টদের ব্রিফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ব্রিফে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় যেসব ব্যক্তি ও স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, তাদের জঙ্গি সংশ্লিষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্যাটেলাইট চিত্র, গোপন যোগাযোগ, গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও কারিগরি তথ্য উপস্থাপন করে কাশ্মীরের পেহেলগামের ঘটনার সঙ্গে ভারতের দাবিকৃত ‘জঙ্গি সংগঠন’ লস্কর-ই-তৈয়বা ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের মতো গোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে চেষ্টা করবে দলগুলো।