ওমান সাগরে তেল পাচারের অভিযোগে একটি বিদেশি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান। দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, জাহাজটিতে প্রায় ২০ লাখ লিটার চোরাই তেল ছিল। বুধবার (১৬ জুলাই) ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানি জানান, ওমান উপসাগরে সন্দেহজনক গতিবিধি এবং বৈধ কাগজপত্রের অভাবের কারণে ট্যাংকারটিকে থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় জাহাজটি থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জ্বালানি তেল জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, জাহাজটির ক্যাপ্টেনসহ মোট ১৭ জন ক্রুকে আটক করা হয়েছে। তবে আটককৃতদের পরিচয়, জাতীয়তা কিংবা জাহাজটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনার পর জাস্ক কাউন্টি প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিচারপতি গাহরেমানি বলেন, ‘বিদেশিদের সহায়তায় যারা ইরানের জাতীয় সম্পদ লুটপাট ও জ্বালানি চোরাচালানে জড়িত, তাদের কার্যকলাপ বিচার বিভাগের নজর এড়িয়ে যেতে পারবে না।’
তিনি আরও জানান, জাহাজের সমস্ত নথিপত্র যাচাই এবং জব্দকৃত জ্বালানির প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ চলছে। তদন্ত শেষে মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ও অনমনীয় শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইরানের উপকূলবর্তী এলাকায় এর আগেও বেশ কয়েকবার তেল পাচারের অভিযোগে বিদেশি ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরান এসব কার্যকলাপকে তাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।