শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০১:০৯ পিএম

জিডিপি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো সব সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০১:০৯ পিএম

তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। ছবি-সংগৃহীত

তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। ছবি-সংগৃহীত

অনুপ্রবেশ, পুশইন শব্দদ্বয় এখন ভারতের রাজনীতিতে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয় বাঙালিদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক পুশইন করছে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি তথা বাংলা ভাষাবাসীদের রক্ষায় দ্বিতীয় ভাষা আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ভারতে কেউ আসে না, কারণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনেক সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। জিডিপি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো- সব দিক থেকেই বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় এগিয়ে। বাংলাদেশিদের ভারতে আসার কোনো কারণই নেই।’

সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে নারী সঞ্চালক যখন বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য মহুয়া।

সঞ্চালকের উদ্দেশে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘কোথায় সেই ব্যাপক অনুপ্রবেশ? কারা ভারতে আসছে? কেনইবা কেউ ভারতে আসবে? আমি নিজে সীমান্তবর্তী এলাকার সংসদ সদস্য। আপনি বলুন তো, এখনকার বাংলাদেশি কেন ভারতে থাকতে চাইবে?’

তিনি বলেন, আমার এলাকা নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর, যার অপরপ্রান্তেই কুষ্টিয়া জেলা। সেখানকার জিডিপি, স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়ন সূচকসহ অনেক দিকেই বাংলাদেশ এখন ভারতের চেয়ে ভালো করছে। দয়া করে মোদিজি ও অমিত শাহজিকে বোঝান, পৃথিবীর সবাই ভারতে আসতে মরিয়া- এমন ভাবনা থেকে যেন বেরিয়ে আসেন তারা।

মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, গত তিন বছরে প্রায় ১১ লাখ ভারতীয় নাগরিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যারা একসময় ভারতে বসবাস করতেন, ট্যাক্স দিতেন, তারাই এখন স্থায়ীভাবে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। কেউ আর ভারতকে ‘স্বপ্নের দেশ’ বলে ভাবছে না। বরং ভারত থেকে মানুষ এখন দুবাই, পর্তুগাল, ইউরোপীয় দেশগুলোতে পাড়ি দিচ্ছে। ‘গোল্ডেন ভিসা’ পাওয়ার জন্য ১০ লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ করছেন অনেকে।

সঞ্চালক যখন বলেন, দরিদ্র বাংলাদেশিরা তো এত টাকা খরচ করে বৈধ অভিবাসনের সুযোগ নিতে পারবে না, তখন মহুয়া স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশিদের নয়, ভারতীয়দের কথা বলেছি যারা বিদেশে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনি দয়া করে মাথা থেকে এই ভ্রান্ত ধারণা ঝেড়ে ফেলুন যে, বাংলাদেশিরা ভারতে থাকতে মরিয়া হয়ে পড়েছে।’

তিনি প্রশ্ন তোলেন, আপনারা তো সিএএ এনেছেন। তাহলে কেন আজও বাংলাদেশি হিন্দুরা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করছেন? যদি সত্যিই কারো শরণ নিতে হয়, তারা কেন বৈধ পথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করছেন না? বাস্তবে সিএএ চালু হওয়ার পরও মাত্র দুই হাজার মানুষও আবেদন করেনি নাগরিকত্বের জন্য। এটা কী দেখায় না যে, পুরো আইডিয়াটাই মিথ্যা আশঙ্কার ভিত্তিতে দাঁড় করানো?

মোদি সরকারের উদ্দেশ্যে মহুয়া বলেন, আপনারা বলছেন বাংলাদেশি হিন্দুরা নির্যাতিত, তাই সিএএ দরকার। তাহলে সিএএ বাস্তবায়নের পরও কেন সীমান্তে অনুপ্রবেশ চলছে? তারা তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারে! আর যদি কেউ অবৈধভাবে আসে, তাহলে আপনার সীমান্ত ব্যবস্থাপনাই বা কী করছে, প্রশ্ন রাখেন মহুয়া।

এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে মহুয়া বলেন, দুই লাখ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছেন আপনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেটে। সেই টাকা কোথায় গেল? সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার না করে শুধু বাংলাদেশিদের দোষ দিলে হবে না। আরও বিএসএফ মোতায়েন করুন, প্রযুক্তি বাড়ান, আলো বসান। তাহলে দেখবেন কেউ ঢুকতেই পারবে না। একজনও যদি ঢুকে, সেটার দায় আপনার।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!