ঢাকা সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫

ভারতে আটক রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আটক কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি- সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ইস্যুতে বিক্ষোভ চলাকালে কংগ্রেস নেতাদের আটক করে পুলিশ। বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকর্মী অংশ নেন, এবং ব্যানার ও পতাকা হাতে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডায় জড়াতেও দেখা গেছে। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মিতালি বাগ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, তাকে সহায়তা করতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে।

জানা গেছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক আজ নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের দিকে মিছিলের পরিকল্পনা করেছিল। এর জবাবে পুলিশ সংসদ ভবনের চারপাশের রাস্তা অবরুদ্ধ করে, ব্যারিকেড স্থাপন করে এবং বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করে। এই বিক্ষোভের কারণে সংসদের উভয় কক্ষ দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করছে, ক্ষমতাসীন বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা নিয়ে কারচুপি এবং ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব ফেলছে। এই অভিযোগ গত বছর মহারাষ্ট্র নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে। বিরোধী ব্লক (কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরে’র শিব সেনা এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি) দাবি করছে, নির্বাচন কমিশন বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে ভোটার তালিকা নিয়ে কারচুপি করেছে।

বিরোধীরা কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরেছে, যেমন রাজ্যে শেষ ফেডারেল নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস পর অস্বাভাবিক সংখ্যক নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে। কর্ণাটক লোকসভা নির্বাচন নিয়েও একই রকম অভিযোগ উঠেছে।

গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়া ব্লকের সভায় বিভিন্ন তথ্য দিয়ে দেখান যে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান, যেন একটি অনুসন্ধানযোগ্য ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হয়, যাতে বিরোধী দলগুলো ত্রুটি খুঁজে বের করতে পারে।

এদিকে, বিহারে ভোটার তালিকার ‘সংশোধনী’ বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এই সংশোধনীর নির্দেশ দিয়েছে, যার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। আবেদনকারীরা বলেছেন, এটি অবৈধ এবং নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার ছাড়িয়ে গেছে।