ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ সমীক্ষা (এসআইআর) নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ তীব্র আকার নিয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি ‘অবৈধ ভোটার’ বাদ দেওয়া নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। আর শাসক তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, একজন যোগ্য ভোটারের নামও বাদ গেলে আন্দোলন হবে দিল্লি পর্যন্ত। এই আবহে নদীয়া জেলার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার সম্পর্কিত বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বানপুরে বিজেপির এক সভায় তিনি বলেন, ‘কথা দিচ্ছি, এবারের ভোটে আমরা জিতলে বাংলাদেশের সঙ্গে আর কাঁটাতার রাখব না। আগেও এক ছিল দুই বাংলা, আবার এক হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল জিতলেও কাঁটাতার আর থাকবে না। কিন্তু ওই দেশটা বাংলাদেশই থেকে যাবে।’
বিজেপি নেতারা বারবার দাবি করেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় রাজ্যে অনুপ্রবেশের কারণে জনসংখ্যার গঠন পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এর পেছনে তৃণমূল সরকারের পরোক্ষ সহায়তা রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাতের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি এই এসআইআরকে প্রধান নির্বাচনি হাতিয়ার করেছে।
তবে বিজেপি এমপির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ বলেন, ‘জগন্নাথ সরকারের মন্তব্যে বিজেপির দ্বিচারিতা প্রকাশ পেয়েছে। একদিকে তারা বলছে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে, অন্যদিকে একই সময়ে বলছে ‘কাঁটাতার তুলে দেব’। বাংলার মানুষ তাদের এই দ্বিচারিতা নিজে বুঝে নেবেন।’

