ইসরায়েলের নাগরিকদের একটি বড় অংশ তাদের অত্যাধুনিক ‘আয়রন ডোম’ বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এতদিন ‘দুর্ভেদ্য’ বলে মনে করতেন। তবে ইরানের সাম্প্রতিক হামলায় তাদের সেই চিন্তায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বিশেষ করে হামলায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আগের মতো আস্থা রাখতে পারছেন না।
যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের বহু স্তরযুক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে ব্যবস্থাটি যে পুরোপুরি ‘নিখুঁত’ নয়, সেটি অবশ্য স্বীকার করছেন কর্মকর্তারা।
গত ১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর তেহরানের ‘প্রতিশোধমূলক হামলার’ ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৬ জুন) ভোরেও ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
গত চার দিনে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এটি ইরানের সবচেয়ে ভারী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা। কারণ এতে ইসরায়েলি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তেল শোধনাগারগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদন মতে, ভারী ওয়ারহেডের কারণে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আরও ব্যাপক ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া, আইআরজিসি স্পষ্টতই তাদের সবশেষ অভিযানে ‘ফাত্তাহ’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
উচ্চ গতির এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সহজেই ইসরায়েলের অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাজিত করতে পারে বলেও জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :