ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত

বাড়ছে হামলার তীব্রতা

উৎপল দাশগুপ্ত
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫, ১২:৫৮ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতাও বাড়াচ্ছে উভয় দেশ। উত্তেজনা কমানোর জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক আহ্বানের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে। গতকাল সোমবার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার চতুর্থ দিন। হামলার তৃতীয় দিন গত রোববার দিন থেকে রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এসব হামলায় উভয় দেশই পরিণত হচ্ছে ধ্বংসস্তূপে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কঙ্কালসার চেহারা নিয়ে কোনো রকমে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরের পোড়া, ভাঙাচোরা বাড়ি। অপরদিকে ইরানের রাজধানী তেহরানের শাহরান এলাকায় তেলের ভাণ্ডারে জ্বলতে থাকা আগুন যুদ্ধের ভয়াবহতাকে দৃশ্যমান করছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইসরায়েলের আকাশপথ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর ফলে প্রায় ৪০ হাজার পর্যটক ইসরায়েলে আটকা পড়েছেন।

চার দিন ধরে চলা একটানা পাল্টাপল্টি হামলায় ইরানে এ পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন আর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৭৭ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান ও দুই জেনারেলও রয়েছেন। এ ছাড়া অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ জনে। আহত হয়েছেন ৩৮৫ জন।   

এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব পাস করানোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে মিত্র দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যেতে চাচ্ছে ইরান। এ জন্য দেশটির পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে যুদ্ধের কোনো পরিকল্পনা না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো মিত্রই ইসরায়েরের পক্ষে লড়াই করবে না বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। ফলে সংঘাত যত দীর্ঘায়িত হবে, ততই ইসরায়েলের ওপর কৌশলগত চাপ বাড়বে বলে ধারণা করছেন অনেকে। 

এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওনা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে তাদের সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ শক্তির মোকাবিলা করতে হবে।

ইরানের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দিশাহারা ইসরায়েল: গত রোববার রাতভর ও গতকাল ইরান মধ্য ইসরায়েলে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ সময় তেল আবিব এবং জেরুজালেমসহ সারা দেশে সাইরেন বাজানো হয়েছে এবং বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। উপকূলীয় শহর হাইফার একটি তেল শোধনাগারের আশপাশে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিস্ফোরণও দেখা গেছে।

মধ্য ইসরায়েলের বিদ্যুৎ গ্রিডও এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে রোববারও ইরান ইসরায়েলের আবাসিক ভবন ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। দিনের আলোতে ইসরায়েলি বাসিন্দাদের মধ্যে আরও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ তারা ক্ষতির পরিমাণ প্রত্যক্ষ করছেন। 

কর্তৃপক্ষ ধ্বংসাবশেষের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে। রাস্তায় বেরিয়ে মানুষ একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে। তেল আবিবের ছবিগুলোতে দেখা গেছে, রাস্তা ধ্বংসাবশেষে ভরে গেছে, দোকানপাটের জানালা ভাঙা এবং ভবন ও গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের ১২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করেছে। চার দিনের হামলায় ইরানের মোট ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, শুধু গতরাতেই ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ২০টির বেশি লঞ্চার ধ্বংস করেছে। তা না হলে মাত্র কয়েক মিনিট পর এই লঞ্চারগুলো দিয়ে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত ইরান। ডেফরিন আরও জানান, ইসরায়েল ইরানের মধ্যাঞ্চলের ইস্পাহান শহরে প্রায় ১০০টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। প্রায় ৫০টি যুদ্ধবিমান ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম, লঞ্চার ও কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

ইসরায়েলের ভূখণ্ডে গত রোববার দিবাগত রাতে একের পর এক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আটজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। বলা হয়েছে, রাতভর তেলআবিব ও হাইফাসহ বিভিন্ন ইসরায়েলি শহরে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, আহত অবস্থায় প্রায় ৩৮৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে গত শুক্রবার হামলা, পাল্টা হামলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত (গতকাল সোমবার দুপুর) ইসরায়েলে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।

এদিকে গতকাল ইরান পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার বৈদেশিক শাখা মোসাদের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র সাইদ মনতাজের আল-মাহদি জানান, পুলিশ তেহরান প্রদেশের রে কাউন্টির ফাশাফুয়েহ এলাকা থেকে এই দুই মোসাদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় দুজনের কাছ থেকে ২০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক, ড্রোন চালানোর ২৩টি সরঞ্জাম, লঞ্চার এবং আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি নিশান পিকআপ ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববারও দিনের শুরুর দিকে তেহরান প্রদেশের পাশের আলবোরজ প্রদেশের সাভোজবোলাঘ এলাকা থেকে আরও দুই মোসাদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানে রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় গত রোববার ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা শাখার প্রধানসহ দুই ইরানি জেনারেল নিহত হয়েছেন। রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি এবং জেনারেল হাসান মোহাক্বিক ও মোহসেন বাঘেরি তেহরানে এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি হামলার কয়েক দিন পর তেহরানের আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাজধানী শহর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। গত রোববার তেহরানজুড়ে গ্যাস স্টেশনগুলোর বাইরে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের তেল আবিবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এক এক্স পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের গোপন শাখা কুদস ফোর্সের সদর দপ্তরে আঘাত হেনেছে। গত রোববার ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ এলাকা এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান নিহত হন। এদিকে মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এদিকে এই সংঘাতকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় গত রোববার জ্বালানি তেলের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে।

এনপিটি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পার্লামেন্টে বিল তুলবে ইরান: পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যেতে চায় ইরান। এ জন্য দেশটি পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাকাই গতকাল এ কথা বলেছেন। মুখপাত্র আরও জানান, তেহরান গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির বিপক্ষে।

যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার সমালোচনাও করতে বলেছেন ইসমাঈল বাকাই। পারমাণবিক ইস্যুতে কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে এটা করতে হবে বলেছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার পারমাণবিক ইস্যুতে গতকালের পূর্বনির্ধারিত কূটনৈতিক আলোচনা স্থগিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসমাঈল বাকাই গতকাল এ মন্তব্য করলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনাকে ‘অর্থহীন’ উল্লেখ করে মুখপাত্র ইসমাঈল বাকাই বলেন, আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করতে হবে।

বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৬৮ সালে সই করা হয়েছে এনপিটি। এখন পর্যন্ত ১৯১টি দেশ এ চুক্তিতে সই করেছে। পাঁচ বছর পরপর দেশগুলো চুক্তিটি পর্যবেক্ষণ করে।

চারদিন ধরে ইরানজুড়ে ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রসঙ্গে পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো ইচ্ছা ইরানের নেই। 

ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায় না ইসরায়েল: ইসরায়েল সরকার ইরানে বিদ্যমান শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায়Ñ এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, খামেনি (ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা) কি ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু? জবাবে গিদিয়ন সার বলেন, ইরানের নেতৃত্বকে উৎখাত করার লক্ষ্য তার সরকারের নেই।

জটিল পরিস্থিতিতে ইসরায়েল : আলজাজিরাকে ইসরায়েলি সামরিক বিশ্লেষক গোল্ডবার্গ বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না, কারণ ইসরায়েলের যুদ্ধকৌশলে এখনো কোনো সুস্পষ্ট লক্ষ্য বা সমাপ্তির রূপরেখা নেই। 

গোল্ডবার্গ মনে করেন, যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। কারণ, ইসরায়েল সরকার এখনো কোনো ‘অফ-র‌্যাম্প’ বা সংঘাত অবসানের পথ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। তার মতে, ইসরায়েল এখন একটি কঠিন সময়ের মধ্যে আছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, যারা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন, বিশেষ করে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষাপটে, তারা বুঝতে পারবেন যে ইসরায়েল একটি জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে। সময় যত গড়াবে, ততই তা স্পষ্ট হবে।