ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় সরাসরি জড়িয়ে পড়ছে চীন। গোপনে ইরানে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বেইজিং। সম্প্রতি তেহরানের বিমানবন্দরে চীনা একটি কার্গো বিমানের রহস্যজনক অবতরণ ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আকাশে থাকাকালীনই বিমানটির ট্রান্সপন্ডার বন্ধ ছিল। যা ইঙ্গিত করে গোপন সামরিক মিশন বা অস্ত্র সরবরাহের দিকে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সত্যিই ইরানকে গোপনে সহায়তা করছে চীন?
নির্ভরযোগ্য সূত্র না থাকলেও ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম বেশ গুরুত্ব দিয়েই ওই বিমান অবতরণের খবর প্রকাশ করেছে। এভাবে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে ওই বিমানের অবতরণের ঘটনা, গোপন কোনো অভিযানের দিকেই ইঙ্গিত করে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। ইরানের সঙ্গে চীনের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওই বিমানে সামরিক অস্ত্র বা নিষিদ্ধ কোনো পণ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এমন খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
চীন দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের সঙ্গে কৌশলগত ও সামরিক অংশীদারত্ব বজায় রেখে আসছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চীন যদি সত্যিই অস্ত্র সহায়তা দিয়ে থাকে, তবে তা হবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের প্রতি সরাসরি একধরনের চ্যালেঞ্জ।
এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর মধ্যেই ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এদিকে, ইরানকে সমর্থন দিচ্ছে চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান এবং সৌদি আরবসহ বাকি মুসলিম বিশ্ব।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় দেশগুলো সরাসরি ইসরায়েলকে সমর্থন এবং সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।