চলতি মাসে ইসরায়েলের হামলার জবাব না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘পূর্ণমাত্রার এবং নিয়ন্ত্রণহীন যুদ্ধ’ শুরু হতে পারত বলে মনে করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। বেলারুশে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
হামলার নিন্দা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী শাসনব্যস্থা (ইসরায়েল) পরিচালিত এই হামলা আন্তর্জাতিক নিয়মের চরম লঙ্ঘন। এটি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা অখণ্ডতার ওপর একটি মারাত্মক আঘাত।’
তিনি অভিযোগ আরও বলেন, ইসরায়েল ‘যুদ্ধের নিয়ম ভেঙে’ হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় বেসামরিক লোক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন ও কর্মক্ষেত্র লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
ইসরায়েলের এই আক্রমণের পর ইরানি সংসদ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এদিকে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) সদস্যপদ নিয়েও এখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেজেশকিয়ান।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলা এমন এক সময়ে হয়েছে যখন তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চলছিল। এটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।’
এদিকে ইসরায়েলের হামলায় ইরানে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ‘ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬২৭ জন ইরানি নিহত হয়েছে।’
শেষে পেজেশকিয়ান বলেন, অন্যান্য ইরানি কর্মকর্তাদের মতো, এই সংঘাতের পরিণতিকে ‘ইরানের বিজয়’এনে দিয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমরা যদি চুপ করে থাকতাম, তাহলে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছাত, যেখান থেকে ফেরত আসা অসম্ভব হতো।’
