ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম
ছবি- এআই দিয়ে তৈরি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় গত তিন দিনে অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কাতারভিত্তিক আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৭ জুন) উত্তর গাজার তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে বিস্ফোরক রকেট নিক্ষেপ করে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেড। এতে সাঁজোয়া যানে থাকা ১৭ জন ইসরায়েলি সেনার মধ্যে ৭ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়।

আনাদোলু এজেন্সির খবর অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গাজার প্রধান শহর গাজা সিটিতে আল কাসাম ব্রিগেডের গুলিতে একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় দুটি মেরকাভা ট্যাংক, একটি সাঁজোয়া যান ও একটি বুলডোজার ধ্বংস হয়েছে।

তার আগে, বুধবার (২৫ জুন) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় আল কাসামের গুলি ও রকেট হামলায় আরও ৭ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন।

রয়টার্স জানায়, মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের পুনরায় শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এত কম সময়ে এত সংখ্যক সেনার মৃত্যু হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এরপর থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৫৬,৩৬৫ জন এবং আহত হয়েছেন ১,৩২,২৩৯ জন।

২০ মাসের অধিক সময় যুদ্ধ চলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীর চাপের মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। তবে দুই মাসও শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে অভিযান পুনরায় শুরু করে আইডিএফ। একই সঙ্গে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দেওয়ায় মানবিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে।

হামাসের হাতে আটক ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার ইসরায়েলের কাছে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজেতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার মধ্যস্থতায় তেল আবিব ও হামাসকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে উভয় পক্ষই এখন পর্যন্ত তা গ্রহণ করেনি।