ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

গাজায় প্রতি তিনজনে একজন অনাহারে দিন কাটাচ্ছে : জাতিসংঘ

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ১২:১১ পিএম
গাজার ত্রাণকেন্দ্রে শিশুদের ভিড়। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতি তিনজনের একজন না খেয়ে দিন পার করছেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) এ কথা জানায় জাতিসংঘের খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ‘খাবারের অভাবে গাজায় পুষ্টিহীনতা বাড়ছে। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন কমপক্ষে ৯০ হাজার নারী ও শিশুর।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) অপুষ্টিতে গাজায় আরও ৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে উপত্যকাটিতে মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ১২২, যাদের মধ্যে ৮৩ জনই শিশু বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া, ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ওই সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন জাতিসংঘের বিকল্প হিসেবে গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করে।

অবরুদ্ধ গাজায় সব রকম পণ্য সরবরাহের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল। দেশটি দাবি করছে, গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশে এখন কোনো বাধা নেই। সেখানে সব অপুষ্টিজনিত সমস্যার জন্য হামাসকে দায়ী করছে তারা।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান নতুন করে গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা এটিকে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য অকার্যকর উপায় বলে সতর্ক করেছে।

এ দিকে, গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশের ওপর থেকে অবিলম্বে বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুক্রবার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এ তিন দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে অবিলম্বে গাজায় চলমান ‘মানবিক বিপর্যয় ও যুদ্ধ’ বন্ধের আহ্বানও জানায়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা ব্যাখ্যা করার মতো না। কোনো করুণা নেই, সত্য নেই, নেই কোনো মানবতা।