‘ইসরায়েলের’ সংস্কৃতিমন্ত্রী আমিচাই এলিয়াহু বলেছেন, গাজায় ক্ষুধা নিয়ে ইসরায়েলে’ উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সরকার গাজাকে মুছে ফেলার জন্য তাড়াহুড়ো করছে। ইশ্বরকে ধন্যবাদ আমরা এই মন্দতা মুছে ফেলছি। পুরো গাজা ইহুদি রাষ্ট্র হয়ে যাবে। তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত ২৪ জুলাই কোল বারামা রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমিচাই এলিয়াহু এসব কথা বলেছেন।
অতি-ডানপন্থী ওজমা ইয়েহুদিত দলের এই রাজনীতিক জাতিসংঘের দুর্ভিক্ষ সতর্কতা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল গাজাকে মুছে ফেলার পথে এগোচ্ছে। ঈশ্বরের কৃপায় আমরা এই মন্দতা দূর করতে পারছি। পুরো গাজা ইহুদি হবে। কোনও জাতি তার শত্রুদের খাবার দেয় না। আমাদের কেন তাদের রাতের খাবারের চিন্তা করতে হবে?’
‘ইসরায়েলে’র প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে বলেন, ‘সরকারের নীতি স্পষ্ট এবং ঐক্যবদ্ধ। এই বক্তব্য তা প্রতিফলিত করে না।’ তিনি উল্লেখ করেন, এলিয়াহু নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্য নন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ‘ইসরায়েলি’ রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লেইটারও এই মন্তব্যের সমালোচনা করে এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, এগুলো ‘ভুল, বোকামি এবং সরকারের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না’। তিনি জোর দিয়ে জানান, ‘ইসরায়েল’ গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে তা হামাসের মাধ্যমে নয়।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ১১৩ জন ক্ষুধায় মারা গেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, ‘ইসরায়েলের’ অবরোধ গাজাকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) মিশর ও জর্ডানে আটকে থাকা প্রায় ছয় হাজার ত্রাণ ট্রাককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, ‘ইসরায়েলি’ কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী সরবরাহ মজুদ করছে এবং বিতরণ পয়েন্টে বেসামরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :