ঢাকা শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না, এই ভূখণ্ড আমাদের: নেতানিয়াহু

এএফপি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০১:৪৮ এএম
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরে বৃহৎ বসতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ‘কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ে উঠতে দেওয়া হবে না’। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমের পূর্বে অবস্থিত ইসরায়েলি বসতি মালে আদুমিমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে যাচ্ছি, কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না, এই ভূখণ্ড আমাদের।’

নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ঐতিহ্য, জমি ও নিরাপত্তা রক্ষা করব। আমরা শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করব।’ তার এ বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

ই-১ নামে পরিচিত প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে এ প্রকল্প এতদিন আটকে ছিল। এলাকাটি জেরুজালেম ও মালে আদুমিমের মাঝামাঝি, যা উত্তর ও দক্ষিণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে যুক্ত করা প্রধান সড়কের কাছে অবস্থিত।

গত মাসে ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এ এলাকায় ৩ হাজার ৪০০টি বাড়ি নির্মাণের প্রস্তাব সমর্থন করেন। এই ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, পরিকল্পনাটি কার্যকর হলে পশ্চিম তীর কার্যত বিভক্ত হয়ে যাবে এবং এটি একটি সংলগ্ন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ‘অস্তিত্বগত হুমকি’ সৃষ্টি করবে।

আন্তর্জাতিক আইনে ১৯৬৭ সাল থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সব বসতি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত, ইসরায়েলের অনুমোদন থাকুক বা না থাকুক।

এদিকে ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ নেবে। বিশেষ করে গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে ব্রিটেন অক্টোবরে এ সিদ্ধান্তে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

ইসরায়েলি এনজিও ‘পিস নাউ’ সম্প্রতি জানিয়েছে, ই-১ এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে এবং এক বছরের মধ্যেই আবাসন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংগঠনটির মতে, এই পরিকল্পনা শুধু ইসরায়েলের ভবিষ্যতের জন্যই নয়, শান্তিপূর্ণ দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকেও মারাত্মকভাবে বিপন্ন করবে।

বর্তমানে পশ্চিম তীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি ও প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছেন।