ঢাকা বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন নৌবহর

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
গাজার পথে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্লোটিলার নতুন নৌবহর।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে খাদ্য ও ত্রাণ নিয়ে সমুদ্রপথে আবারও রওনা দিয়েছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এর নতুন নৌবহর।

যুদ্ধবিধস্ত ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোটের এই নৌবহর বর্তমানে ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে আছে বহরটি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এফএফসির এক টেলিগ্রামে পোস্টে দেওয়া বিবৃতি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আনাদোলু এজেন্সি।

ফ্লোটিলার নতুন এই বহরটিতে আছে খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ৯টি নৌযান। এই নৌযানগুলোতে আছেন ক্রুসহ ১০০-এর অধিক স্বেচ্ছাসেবী।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল (২৭৭ কিলোমিটার) দূরে আছে ফ্লোটিলার নৌবহরটি। কিছু দিন আগে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের নৌযানগুলো সাগরের যে এলাকা থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছিল, নতুন নৌবহরটি তার কাছাকাছি রয়েছে।

এফএফসি জোটের অন্যতম সদস্য সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ব্রেকিং দ্য সিজ অন গাজা গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছে, আমরা গাজার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

গত ১৮ বছর ধরে গাজার সমুদ্র উপকূল অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজায় কোনো সমুদ্রবন্দর নেই এবং ইসরায়েলের অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক কোনো জাহাজ বা নৌযান গাজা উপকূলের কাছাকাছি যেতে পারে না। ফ্লোটিলার নৌবহর সেখানে পৌঁছালে তা হবে ১৮ বছর গাজার উপকূলে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক নৌবহরের নোঙ্গর করা।

এর আগে, গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। কিন্তু গাজার জলসীমার কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই একে একে সবগুলো নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের বন্দরে।

কয়েকজন অভিযাত্রীকে আটকে রেখেছে ইসরায়েলের সরকার, বাকিদের ফেরত পাঠাচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রেটা থুনবার্গসহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার শতাধিক অভিযাত্রীকে গ্রিসে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযানবহর আটকানো এবং অভিযাত্রীদের বন্দি করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে ইসরায়েলের।