ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি বলেছেন, সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় থাকতে হবে এবং প্রতিদিন নিজেদের সক্ষমতা আরো শক্তিশালী করতে হবে। সিনিয়র কমান্ডারদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সেনা কর্মকর্তাদের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মেজর জেনারেল মুসাভি নবীন কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান এবং তাদের ‘প্রতিরোধ ফ্রন্টের অফিসার’ ও ভবিষ্যৎ সেনা নেতৃত্ব হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, আজ ফিলিস্তিন বিশ্বের প্রিয়তম নাম, আর গাজা দৃঢ়তা ও তলোয়ারের ওপর রক্তের বিজয়ের প্রতীক।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বলেন, আল-আকসা স্টর্ম অভিযানের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে, যা বৃহত্তর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, বছরের পর বছর যুক্তরাষ্ট্র ও জায়নবাদী শাসন নিজেদের ন্যায়পরায়ণ হিসেবে উপস্থাপনের জন্য গণমাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করেছিল, কিন্তু আজ তাদের প্রকৃত অপরাধী, রক্তপিপাসু ও শিশু হত্যাকারী চেহারা বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয়েছে। একসময় প্রায় বিস্মৃত ফিলিস্তিন আজ আবারও বৈশ্বিক ইস্যুর কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরে এসেছে।
নিজ বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জায়নবাদী শাসন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায়, তাদের লজ্জাজনক পরাজয়, জনরোষ ও অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা থেকে রেহাই পেতে ইরানের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু তারা মারাত্মক পরাজয়ের সম্মুখীন হয় এবং শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
জেনারেল মুসাভি বলেন, শত্রুর লক্ষ্য হলো জাতীয় সংহতি দুর্বল করা এবং ইরানের অনন্য প্রতিরোধ দুর্গকে ভেঙে দেওয়া। তাই সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বদা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ধরে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন নিজেদের সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে।