যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। মার্কিন-মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি জারি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গত ১১ অক্টোবর এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ৫০০ বারের বেশি চুক্তিটি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে যুদ্ধবিরতির পরও প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েত ফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসক দল। হামলাটি গাজার উপকূলীয় আল-মাওয়াসি এলাকায় হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, নিহতদের মধ্যে ৪৬ ও ৩০ বছর বয়সী দুই নারী, ৩৬ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং আট ও ১০ বছর বয়সী দুই শিশু রয়েছে। আহত অন্তত ৩২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা বিবিসিকে জানান, আল-নাজাত ক্যাম্প থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই তাঁবুশিবিরে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ‘এক হামাস যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে হামলা’ চালিয়েছে। এর আগে বুধবার পাঁচ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছিল বলে জানানো হয়। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, ‘হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন করে রাফাহ এলাকায় মোতায়েন আইডিএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধমূলক জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল-মাওয়াসির বাস্তুচ্যুত এলাকায় একটি তাঁবুতে প্রথম হামলা চালানো হয়। এরপর কুয়েত হাসপাতালের কাছাকাছি বিস্ফোরণ ঘটে, এতে আশ্রয় সেখানে নেয়া পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হামাস এ ঘটনাকে বর্বরোচিত, নির্বিচার হামলা এবং ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।



