ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়েই যুদ্ধক্ষমতা বাড়ল উত্তর কোরিয়ার

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি- সংগৃহীত

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ছয় মাস যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও প্রচলিত যুদ্ধক্ষমতা ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল উন্নত করার জন্যই মূলত এই যুদ্ধে নিজেদের জড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া।

ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী এখন দক্ষিণ কোরিয়া এবং সেখানে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের জন্য অনেক বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আরও উন্নত করেছে, ড্রোন-যুদ্ধক্ষমতা উন্নত করেছে এবং আধুনিক অস্ত্র উৎপাদন আরও ত্বরান্বিত করেছে।

এদিকে, গত শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ উত্তর কোরিয়া সফরে কিম জং উনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাশিয়াকে ‘নিঃশর্ত সমর্থন’-এর কথা উল্লেখ করেন কিম। এরপরই তাকে জড়িয়ে ধরেন ল্যাভরভ। এর মাধ্যমেই উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে একটি ব্যাপক সামরিক জোট গড়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এইচইউআর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উত্তর কোরিয়াকে তাদের সামরিক বাহিনী আধুনিকায়নের জন্য ব্যাপক সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে উত্তর কোরিয়া আধুনিক যুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে, উন্নত অস্ত্র উৎপাদন ত্বরান্বিত করেছে, নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করেছে এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়িয়েছে।

প্রতিবেদনটি বলছে, রাশিয়ার সঙ্গে এই সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের জন্য হুমকি বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়া তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে সামরিক শক্তি ব্যবহারের প্রবণতা আরও বাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান না নেওয়ার কারণেই এ প্রবণতা বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত এপ্রিলে উত্তর কোরিয়া জানায়, তাদের সৈন্যরা রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধে লড়াই করছে। এরপর থেকেই এ বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি এবং সামরিক শক্তির উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।