ঢাকা বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত যুক্তরাজ্যের

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৯:০৬ এএম
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে তেল আবিবের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি মঙ্গলবার (২০ মে) স্থানীয় সময় হাউস অব কমন্সে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। 

এ ছাড়া ব্রিটেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত তিজপি হোটেভলিকে তলব করেছে এবং পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ডেভিড ল্যামি জানান, ‘আমরা ২০৩০ সালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রোডম্যাপের আওতায় ইসরায়েলের সঙ্গে বিভিন্ন সহযোগিতা পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ড আমাদের এ পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়ার পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য। তাঁর ভাষায়, ‘গাজা বর্তমানে অন্ধকারের এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি হাউস অব কমন্সে বলেন, ‘বর্তমানে গাজায় ত্রাণ পাঠানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ১০টিরও কম ত্রাণবাহী ট্রাক সেখানে প্রবেশ করতে পেরেছে। এটি মর্মান্তিক এবং অনুচিত।’

এর আগে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, গাজায় সামরিক হামলায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত।

ল্যামি বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বারবার কূটনৈতিকভাবে উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর সরকার তার মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও উসকানিমূলক বক্তব্য থামায়নি।’

মঙ্গলবার সংসদে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘আজ আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ইসরায়েলের এই ধ্বংসাত্মক অবস্থান আমাদের আতঙ্কিত করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আবারও যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি। কারণ এটাই জিম্মিদের মুক্ত করার একমাত্র পথ হতে পারে।

আমরা পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি নির্মাণের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করছি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছি।’

যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় জানান, ‘বাইরের চাপ আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই থেকে সরাতে পারবে না।’

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলায় গাজা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা গৃহহীন হয়েছে এবং ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।