মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বই পালন করতে পারেন।’
ট্রাম্প প্রথম থেকেই ‘ইসরায়েলপন্থি’ মনোভাব দেখিয়ে আসছেন। দীর্ঘদিনের বন্ধুরাষ্ট্র নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনায়ও চুপ ছিলেন তিনি। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে গাজা যুদ্ধ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয়ে নীতিগত পার্থক্যের কারণে তীব্র দ্বন্দ্বের খবরের মধ্যে উইটকফের এমন মন্তব্য এলো।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে হামাসের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিকল্পনা ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
ইয়েমেনে হামাসকে সমর্থনকারী হুতিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলেও উত্তেজনা বেড়েছে।
বুধবার (১১ জুন) নিউইয়র্কে ইসরায়েলি জরুরি প্রতিক্রিয়া গোষ্ঠী ‘ইউনাইটেড হাতজালাহ’র জন্য এক তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উইটকফ বলেন, ‘নেতানিয়াহুর প্রতি কোনো অসম্মান নেই, যার সঙ্গে আমি আজও কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ট্রাম্পই প্রথম বর্তমান প্রেসিডেন্ট, যিনি একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।’ এ সময় দর্শকদের কাছ থেকে হাসি এবং করতালির ধ্বনি আসে।
২০২২ সালের অক্টোবরে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ‘সহজেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন’। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ‘কোনো (মার্কিন) প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের জন্য আমার চেয়ে বেশি কিছু করেননি।’