ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

সোহানাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফুফাতো ভাই

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
শিশু সোহানা ও নাজমুস সাকিব ওরফে নয়ন। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের ঝিকরগাছায় ঈদের দিন (৭ জুন) ফুফুর বাড়ি গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শিশু সোহানাকে (১০) ধর্ষণের পর হত্যা করেছে ফুফাতো ভাই নাজমুস সাকিব ওরফে নয়ন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছে নয়ন।

শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে। নয়ন ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের ইলিয়াস রহমানের ছেলে। 

জানা গেছে, ঝিকরগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে ও বায়সা চাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সোহানা ঈদের দিন হাড়িয়া গ্রামে ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন একটি পুকুরে তার লাশ ভেসে ওঠে।

এ সময় তার ফুফু, ফুফা ও প্রতিবেশী মিন্টু সোহানার লাশ উদ্ধার করেন। লাশের ময়নাতদন্ত যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়। ফুফুর বাড়ির স্বজনরা তখন প্রচার করেছিলেন, পুকুরের পানিতে ডুবে সোহানার মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু সোহানার পিতা আব্দুল আজিজের সন্দেহ হয় তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।

ফলে আব্দুল আজিজ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সোহানার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের পর ১১ জুন সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা থানার এসআই পলাশ দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নয়ন মণিরামপুর উপজেলার মাছনা কাওমি মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে। ঈদুল আজহার ছুটিতে সে বাড়িতে এসেছিল। 

ঝিকরগাছা থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন জানিয়েছে, ঘটনার দিন মামাতো ভাই রিয়াজকে মামার বাড়ি পৌঁছে দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে নয়ন। এ সময় দেখতে পায় তার ছোট বোন তন্নী ঘরে ঘুমিয়ে আছে। আর মামাতো বোন সোহানা গোয়ালঘরের দরজায় বাঁধা দোলনায় দোল খাচ্ছে। তাকে একা দেখে নয়নের মনে যৌন বাসনা তৈরি হয়।’

ওসি নূর মোহাম্মদ জানান, পরে সোহানাকে জাপটে ধরে তার ঘরে নিয়ে গলা ও মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সোহানা শ্বাসরোধে মারা গেলে নয়ন তার মরদেহ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। 

পরে হত্যার ঘটনা গোপন করতে নিখোঁজের নাটক সাজানো হয়। আসামি নয়নের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।