ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদন

ইন্টারনেটের স্বাধীনতায় এগিয়েছে বাংলাদেশ

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
প্রতীকী ছবি।

টানা ১৫ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের স্বাধীনতা হ্রাস পেয়েছে। ২০২৫ সালের ফ্রিডম অন দ্য নেট-এর মূল্যায়ন অনুসারে ৭২টি দেশের মধ্যে ২৮টি দেশেই অবস্থার অবনতি হয়েছে, যেখানে ১৭টি দেশে সামগ্রিকভাবে উন্নতি হয়েছে।

২০২৪ সালের জুনে কর নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষ প্রায় সাত ঘন্টা ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে এবং শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের পর কেনিয়া সবচেয়ে তীব্র পতনের সম্মুখীন হয়। অপরদিকে সে বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বেশ কয়েকদিন বন্ধ রাখে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।

কিন্তু ছাত্র-জনতার তীব্র বিদ্রোহের মুখে এই দমনমূলক নেতৃত্বের উৎখাত হয় এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এই সরকার কিছু ইতিবাচক সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়। তারা দমনমূলক প্রথার অবসান ঘটিয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কঠোর ও দমনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করেছে এবং সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করেছে। যদিও কনটেন্ট অপসারণ, অনলাইন বক্তব্যের জন্য ফৌজদারি শাস্তি এবং নজরদারিসংক্রান্ত উদ্বেগজনক কিছু বিধান রয়ে গেছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউজের প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৪৫, যা গত বছর ছিল ৪০। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বাংলাদেশের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।

২০২৪ সালের জুন থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত তথ্য বিবেচনা করেছে ফ্রিডম হাউজ। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (৪৮), ভারত (৫১) ও শ্রীলঙ্কা (৫৩)।