ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

স্ত্রীর সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে স্বামীর মৃত্যু, বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বিয়ের ১৩ দিনের মাথায় স্ত্রীর সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে আবু বক্কর প্রকাশ আসিফ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নিহতের মরদেহ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।

নিহত আসিফ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কেন্ডা গ্রামের মরহুম ফটিক মিয়ার ছেলে। গত ৮ নভেম্বর আসিফ সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের শশুড় বাড়িতে বেড়াতে গেলে দুই যুবক বাপ্পি ও পারভেজ তার উপর্যপরি ছুরিকাঘাত চালান।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়া হলে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহতের ছোট ভাই আরাফাত হোসেন জানান, বাপ্পি নামের যুবকের সঙ্গে আসিফের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সুইটির (১৯) বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে স্ত্রীও জড়িত থাকতে পারে। তারা অভিযোগ করেন, সুইটি আদালতে ছুরিকাঘাতের মামলা দায়ের করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন।

সেদিন সকালে নিহতের মরদেহ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় স্থানীয়রা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা অবরোধ তুলে নেয়।

মানববন্ধনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বক্তব্য দেন, নিহত আসিফের মা আলেয়া বেগম, নানি রুপিয়া বেগম, স্থানীয় তোফায়েল আহমেদ জুয়েল, এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম সুমন, মোজাম্মেল হক অপু, শহীদ মিয়া, আনোয়ার হোসেন, এয়াছিন মিয়া, মফিজ মেম্বার, রফিকুল ইসলাম, রাশেদ মিয়া প্রমূখ।

অভিযোগ সম্পর্কিত বক্তব্যে সুমাইয়া আক্তার সুইটির বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডে আমার মেয়ে জড়িত নয়। আমার মেয়ে বিয়ের আগে কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। আমরা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, পুলিশ মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সদর দক্ষিণ থানার আওতাধীন হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম আরও জানান, পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।