মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৮:৩০ এএম

সমন্বিত স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ফিজিওথেরাপিস্টদের  অন্তর্ভুক্তির দাবি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৮:৩০ এএম

চিকিৎসা

চিকিৎসা

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা দিন দিন উন্নতির দিকে গেলেও একটি অপরিহার্য শাখা ফিজিওথেরাপি এখনো যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। বিশেষ করে অতিজরুরি বা সংকটকালীন অবস্থায় রোগীর চিকিৎসাব্যবস্থায় ফিজিওথেরাপি কার্যত উপেক্ষিত। অথচ দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন, ব্যথা নিয়ন্ত্রণ এবং রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা অপরিসীম।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ফিজিওথেরাপিস্টদের অন্তর্ভুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক অংশীজন সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. তসলিম উদ্দিন জানান, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেঁচে আছেন। এই জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন একা কারো পক্ষে সম্ভব নয়, সমন্বিত টিমওয়ার্ক ছাড়া। কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অতিজরুরি স্বাস্থ্যসেবায়ও ফিজিওথেরাপি উপেক্ষিত বিষয়।

তসলিম উদ্দিন বলেন, ফিজিওথেরাপিস্টদের অবশ্যই প্রথমে স্বীকৃত স্বাস্থ্যকর্মী হতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি ছাড়া তারা আইনগতভাবে চিকিৎসা দিতে পারবেন না। রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল স্বাস্থ্যকর্মী স্বীকৃতি দেয়নি, ফলে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ সময় তিনি রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমি নিজে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করেছি। ফিজিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান থাকাকালে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার কারণে আমাকে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। দেশের ভেতরেও যদি আমরা শক্তিশালী ইনস্টিটিউট ও প্রশিক্ষণব্যবস্থা গড়ে তুলতাম, রোগীদের বিদেশে যেতে হতো না।

এ সময় বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, টারশিয়ারি লেভেলে ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশন থেরাপিস্টসহ মাল্টিডিসিপ্লিনারি বা ইন্টারডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচে কাজ করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে সক্ষমতা পুরোপুরি তৈরি হয়নি। প্রতিবছর ৮-৯শ ফিজিওথেরাপিস্ট বের হলেও দেশে বর্তমানে মাত্র ৬ হাজারের বেশি ফিজিওথেরাপিস্ট আছেন। যদি প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ দেওয়া যায়, সেবা সারা দেশে পৌঁছবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, দরকার দিন দিন বাড়ছে। জুলাই বিপ্লবে আহতদের পুনর্বাসনেও ফিজিওথেরাপি অপরিহার্য। অ্যাকসিডেন্ট-ইমারজেন্সিÑ বিভিন্ন কারণে ফিজিওথেরাপি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!