যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম জোরদার করে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধভাবে থাকার অভিযোগে আরও একদল বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কতজন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি চার্টার্ড উড়োজাহাজ ঢাকায় আসবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ফ্লাইটটি রাত ৯টায় অবতরণ করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক নারীসহ ৩৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে একটি বিশেষ সামরিক বিমানে (সি-১৭) করে তাদের ফেরত পাঠানো হয় বলে জানায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র।
দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টার অবর্ণনীয় ক্লান্তির যাত্রা শেষে ঢাকার মাটিতে পা রেখে তাদের কেউ বিমর্ষ, কেউ বাকরুদ্ধ ছিলেন। দেশে ফেরার পর ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাদের পরিবহণ সহায়তা দেওয়া হয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
ফেরত আসাদের অভিযোগ, দীর্ঘ বিমানযাত্রার পুরোটা সময় তাদের হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। ফেরত আসা একজন বলেন, আমরা অপরাধী নই, আমরা তো আশ্রয় চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে ভয়ংকর বন্দিদের মতো।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসা প্রসঙ্গে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, আমরা যতটুকু জেনেছি তাদের কেউ কেউ ঘরবাড়ি বিক্রি করে কিংবা ধারদেনা করে ৩০-৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে মেক্সিকো বা দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হয়ে অনিয়মিত পন্থায় পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন