শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিলেট ও কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

সিলেট ও কক্সবাজারে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়

সিলেট ও কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ।

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ।

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে প্রতিদিনই পর্যটন শহর সিলেট ও কক্সবাজার বেড়াতে আসছেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। এই দুই জেলার হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসে বর্তমানে কোনো রুম খালি নেই। সেই সুযোগে অতিরিক্ত রুম ভাড়া আদায়ের অভিযোগও উঠছে।

সিলেট ও কক্সবাজার ব্যুরোর পাঠানো প্রতিবেদন

সিলেট: ঈদের কদিন আগে থেকে সিলেটে বৃষ্টির হানা। চারদিকে বন্যার পদধ্বনি। শঙ্কার মুখে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সিলেটের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর। ঈদের আগের দিন শঙ্কাকে মাথায় নিয়ে সেটি আবার খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ঈদের দুদিন পরে সেই সাদা পাথরেই পূর্বের শঙ্কা সত্যিতে পরিণত হয়। সাদা পাথর ঘুরতে গিয়ে বানের তোড়ে পড়ে সলিল সমাধি হয় এক পর্যটকের। অন্যদিকে সিলেটের আরেক বিখ্যাত পর্যটন স্পট উৎমাছড়ায় হানা দেয় ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে একটি পক্ষ। তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে স্পট থেকে তাড়িয়ে দেয় পর্যটকদের। এটি আবার সেই তারাই ছড়িয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভীত হয়ে পড়েন সিলেটে ঈদের ছুটিতে আসা বাকি পর্যটকরা।

এমন শঙ্কা, আতঙ্ক আর ভয়ভীতি নিয়েও সিলেটে পর্যটক আসা থেমে নেই। ঈদের দিন থেকে সিলেটে আসছেন তারা। তবে বন্যার শঙ্কা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এই ঈদে সিলেটে পর্যটক কম বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। নানান শঙ্কার মাঝেও শহরের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে বুকিংয়ের চাপ বাড়ে ঈদের অনেক আগে থেকেই। প্রথম দিকে অবশ্য বাধা হয়ে চোখ রাঙাচ্ছিল বন্যা। সাথে ছিল পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টি। সিলেট অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় পর্যটনশিল্পে হতাশা দেখা দেয়। তবে ঈদের আগের দিন থেকে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় আশার আলো দেখতে পান ব্যবসায়ীরা।

ঈদের দিন থেকেই জমে ওঠে সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, জাফলং, রাতারগুলের মতো আকর্ষণীয় স্পটগুলো। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতে সিলেট জেলা প্রশাসন গ্রহণ করে বিশেষ ব্যবস্থা। স্পটভিত্তিক রোডম্যাপ, অতিরিক্ত গাইড নিয়োগ এবং নজরদারি জোরদার করা হয়। সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, পর্যটকদের অভিজ্ঞতা যেন ইতিবাচক হয়, সেই লক্ষ্যে প্রতিটি স্পট পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদে অন্তত তিন লাখ পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন সিলেটে। এতে করে স্থানীয় পর্যটন শিল্পে ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে পর্যটন স্পটগুলোর নাজুক সড়কব্যবস্থা এবং স্পট ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে অনেক পর্যটক এসে আবার নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। স্পটগুলোর অব্যবস্থাপনা ও দুর্বল যোগাযোগব্যবস্থাকে দায়ী করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে আবহাওয়ায় খানিকটা অনিশ্চয়তা থাকায় এবারের ঈদে তুলনামূলক কম পর্যটকের আগমন হয়েছে।

দীর্ঘ ছুটি থাকায় এবার ঈদের চতুর্থ দিনেও বিপুলসংখ্যক পর্যটককে সিলেট এসে ঢুকতে দেখা গেছে। চায়ের পাতায় মুগ্ধ হয়ে তারা আধ্যাত্মিক রাজধানী ও পর্যটন অঞ্চল সিলেটের দিকে ছুটে আসছেন। গতকালও পূর্ব বুকিং ছাড়া সিলেটের কোনো হোটেল, মোটেল বা রিসোর্ট নতুন কাউকে রুম দিতে পারেনি। কয়েকটি হোটেল ও রিসোর্টের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সিলেটের অন্যতম পর্যটন স্পট সাদা পাথর ও জাফলং, বিছনাকান্দি, লালাখাল, রাতারগুল। এসব পর্যটনকেন্দ্রে মানুষজন ছুটে যাচ্ছেন সকাল থেকে। বিকেলের দিকে তা লোকারণ্য হয়ে ওঠে। হৈ-হুল্লোড় ও সাঁতার কেটে, পানিতে ডুব দিয়ে, সেলফি তুলে মনোমুগ্ধকর সময় কাটান এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। সিলেটে আসা পর্যটকদের একটি বড় অংশ শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্পট ও রিসোর্টে উঠেছেন। তারা সিলেট শহরে না এসে আবার গন্তব্যে ফিরে যান। সেখানকার হোটেল ও রিসোর্টগুলো এখন পর্যটকে ভরপুর।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি এই সিলেট। এখানে বেড়ানোর জায়গার যেন শেষ নেই। উঁচু-নিচু পাহাড়ে ঘেরা সিলেটে পাহাড়ের ঢেউ খেলানো চা-বাগান নিমেষেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয় চা-বাগান। মহানগরের মধ্যে লাক্কাতুড়া, মালনিছড়া, তারাপুর ও দলদলি চা-বাগান অবস্থিত। স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে বেড়াচ্ছেন আনন্দ-খুশিতে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দল বেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে বের হয়েছেন। মেঘালয়ের পাহাড়, পাথর আর ঝরনার স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে যেন তারা মুগ্ধ হচ্ছেন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে মায়াবী ঝরনা, খাসিয়া পল্লি আর চা-বাগানের উদ্দেশে যাচ্ছেন।

জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় পর্যটকেরা বেড়াতে এসেছেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটক কিছুটা কম। আশা করছি সামনের দিন থেকে পর্যটক বাড়তে পারে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

উৎমাছড়ায় তাড়িয়ে দেওয়া হলো পর্যটকদের:

গত রোববার বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চরারবাজার এলাকার ‘উৎমাছড়া’ পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বাধা দেন স্থানীয় উলামায়ে কেরাম। এই বাধা দেওয়ার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সেখানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের ব্যবসায়ী ওয়াজিহ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি যেভাবে আমার স্ত্রীকে নিয়ে উৎমাছড়ায় গিয়েছি অন্য পর্যটকরাও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে যান। এই জায়গায় কেউ কোনো অশ্লীলতা করেছে এমন দেখিনি। তাই এই পর্যটন স্পটের সুন্দর পরিবেশে কারো অশ্লীলতা করতে মন চাইবে না। কিন্তু হঠাৎ স্থানীয় প্রায় ৭০ জনের মতো হুজুর এসে বলে এখান থেকে চলে যেতে। এটা নাকি পর্যটন স্পট না। তখন আমরা যারা ছিলাম সবাই চলে আসি। কারণ সেখানে আমরা ঘুরতে গিয়েছি, কারো সঙ্গে তর্ক করতে যাইনি।

সাদা পাথরে পর্যটকের মৃত্যু : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রে ধলাই নদীর উৎসমুখে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই পর্যটকের নাম মেহেদী হাসান ইমন (১৬)। সে সিলেট নগরীর লালা দীঘিরপার এলাকার বাসিন্দা জামাল মিয়ার ছেলে।

কক্সবাজার: ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে প্রতিদিনই কক্সবাজার বেড়াতে আসছেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। কক্সবাজারের সাড়ে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউসের কোনো রুম খালি নেই। সেই সুযোগে অতিরিক্ত রুম ভাড়া আদায়ের অভিযোগও কম নয়।

কক্সবাজার শহরসহ ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, দরিয়া নগর, স্বপ্নতরি, বৌদ্ধ মন্দির ও হিমছড়ি ঝর্ণাসহ সব পর্যটন স্পটে রয়েছে এখন পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং বেড়েছে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোতে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। এদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সৈকতে জোরদার করা হয়েছে লাইফ গার্ডের উদ্ধার কার্যক্রম।

সৈকতের বালিয়াড়িতে এসে সাগরজলের সান্নিধ্য নিতে উন্মুখ হচ্ছেন সব বয়সি পর্যটকরা। কিন্তু সাগরের আচরণ না বুঝে বা সাগর সম্পর্কিত নির্দেশনা না মেনে ঢেউয়ের সাথে খেলা করতে গিয়ে অথৈ জলে ডুবে মারা যাচ্ছেন  অনেকে। এতে বিষাদে পরিণত হচ্ছে আনন্দ ভ্রমণ। গত দুই দিনে ৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তাই লাইফগার্ড, বিচ-কর্মীর নজরদারি করা পয়েন্ট ছাড়া অন্য স্থানে সাগরে না নামতে নির্দেশনা দিয়েছে বিচ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার সৈকতে উদ্ধারকারী বেসরকারি সংস্থা সি-সেইফ লাইফ গার্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, পর্যটকদের সতর্ক করতেই লাল নিশানা উড়ানো হয়। ভাটার সময় সাগরে নামা নিষেধ। কিন্তু অনেকে এসব নির্দেশনা না মেনে যখন-তখন যেখান-সেখান দিয়ে সাগরে নেমে যায়। এভাবে অসতর্কতায় সাগরের পানিতে ডুবে মারা গেছেন ৬ জন। এ সময় বিপদাপন্নভাবে অনেককে জীবিত উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্টে গত ৯ জুন দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী বিচ পয়েন্টে গোসলে নেমে বাবা শাহীনুর রহমান ও ছেলে সিফাতের মৃত্যু হয়েছে। তারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে এসেছিল।

আনন্দকে বিষাদে রূপ দিয়ে চোখের জলে কক্সবাজার ত্যাগ করেন নিহত শাহীনুরের পরিবার। শুধু শাহীনুরের পরিবার নয়, এভাবেই সাগরে গোসল করতে নেমে স্বজন হারিয়ে বুকে পাথরচাপা দিয়ে আছেন অনেকে। শুধু দূরের পর্যটক নয়, স্থানীয় অনেকেও অনাকাক্সিক্ষতভাবে ভেসে গিয়ে লাশ হয়েছে অহরহ।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছেন, কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য সাগরে সতর্কতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা থাকে। সচেতনতার জন্য এসব নির্দেশনা মাইকে এবং বিভিন্নভাবে প্রচার করা হয় নিয়মিত। কিন্তু অনেকেই এসব মানেন না। না-মানাদের বেশির ভাগ পর্যটক সাগরে গোসল করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতি সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সৈকতজুড়ে পানির নিচে সাগরের বালি নরম থাকে। ঢেউয়ের পানি ওপরের দিকে ঠেললেও পানি নিচে নামার সময় সাগরের দিকে স্রোতের টান বেশি। এ টান সামলাতে না পেরে অনেক পর্যটক ভেসে যায়। এ ছাড়া প্রাকৃতিক নিয়মে সাগরে একেক সময় একেক পয়েন্টে গুপ্তখাল সৃষ্টি হয়। গুপ্তখালে আটকে বা সাগরের অথৈ পানিতে ভেসে গিয়ে অনেকে মারা যান।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, সাগরের আচরণ সবসময় পালটায়। জোয়ারের সময় যে স্থানে সমতল, ভাটার সময় সেখানে খাদের সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিপাকে হঠাৎ সৃষ্টি হয় চোরাবালির। তাই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট যেখানে লাইফগার্ড ও বিচ-কর্মী দায়িত্ব পালন করে সেখানে ছাড়া, সিগাল, ডায়াবেটিস হাসপাতাল পয়েন্টে গোসলে নামা অনিরাপদ।

একইভাবে হিমছড়ি, ইনানী, পেঁচারদ্বীপ, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সাগরে গোসল করতেও সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। এসব স্থানে নজরদারি রেখে উদ্ধারকর্মী দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জনবল প্রশাসনের নেই। তাই সৈকতজুড়ে লাল নিশানা উড়ানো স্থানে সাগরে নামা উচিত নয়। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!