ইরানের রাজধানী তেহরানে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। হামলার লক্ষ্য ছিল দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো। এত উচ্চ-নিরাপত্তাসম্পন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে সফলভাবে বেরিয়ে আসা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।
ইতোমধ্যে মোসাদ দাবি করেছে, তারা ইরানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সরাসরি এই হামলা পরিচালনা করেছে। তাদের দাবি প্রমাণে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে, যেগুলো রয়টার্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান এবং এবিসি নিউজসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পৌঁছে গেছে। যদিও ভিডিওগুলোর সঠিক সময় ও অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি কেউই।
এবিসি নিউজের বরাত দিয়ে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইরানে মোসাদের একটি গোপন ঘাঁটি ছিল যেখানে বিস্ফোরক ড্রোন মজুত রাখা হয়েছিল। ওই ড্রোনগুলো তেহরানের উপকণ্ঠের আসফাজাবাদ সামরিক ঘাঁটি থেকে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের সাহায্যে হামলা চালায়।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একাধিক আঘাত হানা হয়েছে। কিছু ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ডিভাইস ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, যা মোসাদের গোপন অভিযানের সফলতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ নিশ্চিত করেছে, একটি পারমাণবিক স্থাপনার কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরী, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ বহু শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
এই হামলার পর ইরানজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মোসাদের অপারেশনের ব্যাপারে পর্যালোচনা শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের অভ্যন্তরে মোসাদের সরাসরি হামলা ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনাকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এই সংঘর্ষের জেরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছে, যা যেকোনো সময় আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :