মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০৫:২৪ এএম

তীব্র হামলায় যুদ্ধ শেষের হুঁশিয়ারি ইরানের

উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০৫:২৪ এএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু করলেও ইরানই এর শেষ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর খাতাম-আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সামরিক সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইব্রাহিম জুলফাকারি। এই হুঁশিয়ারির পর গতকাল সোমবার সিরিয়ার একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে। 

অন্যদিকে ইরানের শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদে জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ইরানের হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমন প্রেক্ষাপটে কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। 

এদিকে ট্রাম্পও মার্কিন হামলার পাল্টা জবাব দিলে এর পরিণতিতে তেহরানের সরকার ফেলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে তেহরান কী করে তার জন্য বিশ্ব যখন অপেক্ষায়, তখনো ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিনের বেলায় ইসরায়েলে দীর্ঘ সময় ধরে হামলা চালিয়েছে ইরান। 

এদিন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়ে দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকে। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ ইরানের জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে আগ্রাসন চালানো হচ্ছে, তা ‘ভিত্তিহীন’। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গতকাল মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলজাজিরার খবরে বলা হয়, বৈঠকের শুরুতেই পুতিন এসব কথা বলেন।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়া : 

ইসরায়েলের আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘জুয়াড়ি’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর খাতাম-আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সামরিক সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইব্রাহিম জুলফাকারি। ইব্রাহিম জুলফাকারি বলেন, যা করেছে (যুক্তরাষ্ট্র) তার জন্য চড়া মূল্য চুকানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সশস্ত্র বাহিনীর পাল্টা হামলার বৈধ নিশানার পরিধি আরও বড় করে দিয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

অন্যদিকে ইরানের শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদে জানিয়েছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, সে সিদ্ধান্ত ইরান নিজের মতো করেই নেবে। তেহরান থেকে আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাতিবজাদে বলেন, কখন, কীভাবে এবং কোন মাত্রায় আমেরিকানদের জবাব দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত ইরান নেবে।

ইরানের এমন প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকাহ প্রদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল হাসাকাহর ওই ঘাঁটি মর্টার হামলার শিকার হয়েছে। তবে এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা মেহের নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার হাসাকাহ প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি মর্টার হামলার শিকার হয়েছে। হামলার পর ওই ঘাঁটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘাঁটির প্রধান ফটকে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওই সূত্র।

হাসাকাহ প্রদেশে মার্কিন ঘাঁটিতে গতকালের এই হামলার সঙ্গে ইরান-সংশ্লিষ্ট মিলিশিয়াগোষ্ঠীগুলো জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বাহিনীর হামলার জবাবে সিরিয়ার ঘাঁটিতে এই হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কয়েক ডজন ঘাঁটি রয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর তেহরান ওই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি ও স্বার্থকে বৈধ লক্ষ্যবস্তু করার ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে কাতারে অবস্থানরত মার্কিনদের সতর্কবার্তা পাঠিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির দোহায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। উপসাগরীয় এই দেশটিতে অবস্থিত বিশাল আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। এই ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ইসরায়েলে ইরানের হামলা: 

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন জানিয়েছে, একটি ‘কৌশলগত অবকাঠামোর’ কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে গণমাধ্যম। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দলগুলো ঘটনাস্থলের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। অপারেশনগুলোতে অবকাঠামো মেরামত এবং নিরাপত্তাঝুঁকি অপসারণের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে এগুলো পরিচালিত হচ্ছে।

হামলার সময় প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে সাইরেন বেজেছে। চ্যানেল ১৩ ব্রডকাস্টার জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলিরা আশ্রয়কেন্দ্রে এত দীর্ঘ সময় কাটায়নি। এই ঘটনা ইসরায়েলে ইরানি হামলার তীব্রতা এবং এর সরাসরি প্রভাবকে তুলে ধরেছে, যা বেসামরিক জীবনে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরানের হামলার সময় প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সাইরেন বেজেছে। সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল থার্টিনের খবর বলছে, গত ১৩ জুন হামলা শুরুর পর থেকে আজ সবচেয়ে লম্বা সময় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয়েছে ইসরায়েলিদের।

এদিকে পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ‘কঠিন জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল আমির হাতামি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত এক ভিডিও ক্লিপে তাকে এই মন্তব্য করতে দেখা যায়।

মেজর জেনারেল আমির হাতামি বলেন, আমাদের ইতিহাসে আমরা বহুবার আমেরিকার মুখোমুখি হয়েছি। যখনই তারা আমাদের দিকে আসার চেষ্টা করেছে, তখনই তারা কঠিন জবাব পেয়েছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে যোগ করেন, আমরা যুদ্ধ করব; আমরা শান্তির জন্য যুদ্ধ করব। আমাদের অনেক শহিদ হয়েছে, কিন্তু আমরা শক্তি ও সাহসের সঙ্গে লড়াই করব। আপনারা আমাদের শক্তির বিষয়ে নিশ্চিত থাকবেন।

ইসরায়েলে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সেখান থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে একটি সামরিক বিমান পাঠাচ্ছে ফ্রান্স। ফরাসি পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাঠানো চার্টার্ড বেসামরিক ফ্লাইটগুলোর পাশাপাশি সামরিক বিমান নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে সহায়তা করবে।

ইরানের হামলার পাশাপাশি গতকাল ইসরায়েলে আরেক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। রাজধানী তেল আবিব লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সেটিকে সফলভাবে প্রতিহতের দাবি  করেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে।

আইডিএফ বলছে, মাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল হুতিরা। ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড আদমের তথ্য মতে, এ হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। হামলার আগে তেল আবিব, পশ্চিম তীরের বসতি এবং ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে। প্রাণহানি কমাতে এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহতের পর হোম ফ্রন্ট কমান্ড সতর্কতা তুলে নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের সবাই চাইলে বাড়ি ফিরতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
গতকাল ইরানে মোহাম্মদ আমিন মাহদাভি শায়েস্তেহ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার দায়ে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। ইরানের আধাসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম ও ফার্সের প্রতিবেদন সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। খবর আলজাজিরার।

তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোসাদের সঙ্গে যুক্ত একটি সাইবার দলের প্রধান ছিলেন শায়েস্তেহ। তাকে ২০২৩ সালের শেষদিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইসরায়েলের পাল্টা হামলা: 

তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার ঘটনা নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই হামলায় কারাগারের প্রহরী টাওয়ার, প্রশাসনিক বিভাগ ও আদালত কক্ষ লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এভিন কারাগার ইরানের সবচেয়ে বিতর্কিত ও কুখ্যাত কারাগারগুলোর একটি। এখানে সাধারণত রাজনৈতিক বন্দি, পশ্চিমা দেশের নাগরিক এবং দ্বৈত নাগরিকত্বধারীদের আটক রাখা হয়। মূলত এখানে আটকে রাখা বন্দিদের পশ্চিমাদের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা ও দর-কষাকষিতে ব্যবহার করে ইরান।

এই কারাগারে রয়েছে বিশেষায়িত ইউনিট, যা পরিচালনা করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড। পশ্চিমা অনেক নাগরিক বন্দি থাকার পরও ইসরায়েল কেন ওই কারাগারে হামলা চালিয়েছে, তা নিয়ে চলছে বিচার-বিশ্লেষণ। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা কৌশলগত ও প্রতীকী উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইরান সরকারের নিপীড়নের প্রতীকী ঘাঁটিতে আঘাত হানার মতো। 

এদিকে হামলার পর ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছে, কারাগারের ভবনগুলো এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিমানবাহিনী তেহরান এলাকায় হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। এই হামলাগুলো বিশেষভাবে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ড সেন্টারগুলোকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ইরানের একাধিক শহরে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে তেহরান, তাবরিজ, কারাজ এবং কেরমানশাহ উল্লেখযোগ্য। এসব হামলায় ইরানের সামরিক অবকাঠামো এবং আইআরজিসির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। 

আবার ফোরদোতে হামলা করল ইসরায়েল: 

গতকাল ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নতুন করে হামলা চালিয়েছে। তাসনিম বার্তা সংস্থা কোম প্রদেশের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সদর দপ্তরের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মাত্র এক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় এই কেন্দ্রটি লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।

কোম প্রদেশের ওই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে তাসনিম আরও জানিয়েছে, হামলায় এলাকার বাসিন্দাদের কোনো বিপদ নেই। এর আগে মার্কিন হামলায় এই কেন্দ্রটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল। 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ইরানের পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত কমপক্ষে ছয়টি বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হিব্রু ভাষার এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দূর নিয়ন্ত্রিত যুদ্ধবিমান ১৫টি ইরানি বিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই হামলায় রানওয়ে, ভূগর্ভস্থ বাংকার, একটি জ্বালানি সরবরাহের উড়োজাহাজ এবং ইরানের এফ-১৪, এফ-৫ এবং এএইচ-১ মডেলের বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, বিমানবাহিনী এই বিমানবন্দরগুলো থেকে উড়ান পরিচালনার সক্ষমতা এবং ইরানি সেনাবাহিনীর বিমান শক্তির কার্যক্রম ব্যাহত করেছে।

Link copied!