মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম

প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপকারিতা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম

প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত

প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত

শরীর গঠনে, শক্তি বৃদ্ধিতে ও রোগ প্রতিরোধে প্রোটিনের বিকল্প নেই।প্রোটিন হচ্ছে শরীরের অন্যতম প্রধান পুষ্টি উপাদান, যা মানবদেহের গঠন, মেরামত ও সঠিক কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য। আমাদের শরীরের পেশি, ত্বক, হাড়, চুল, রক্তসহ প্রায় সবকিছুতেই প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই দৈনিক খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রোটিন জাতীয় খাবারের গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা

শরীরের গঠন ও পেশি তৈরিতে সহায়ক

প্রোটিন পেশি গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করেন, তাদের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূতি থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

প্রোটিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এটি বিভিন্ন অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করে, যা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ে।

শক্তি উৎপাদনে সহায়ক

প্রোটিন খাদ্য শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি শরীরে এনার্জি যোগায় এবং দুর্বলতা কাটিয়ে তোলে।

হাড় ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

প্রোটিন হাড়কে মজবুত করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে ত্বক সুস্থ, উজ্জ্বল ও নমনীয় থাকে।

চুল, নখ ও ত্বকের গুণগত মান বাড়ায়

প্রোটিনের অভাবে চুল ভেঙে পড়া, নখ দুর্বল হওয়া বা ত্বক রুক্ষ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণে এগুলোর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

ক্ষত সারাতে সাহায্য করে

দেহের কোনো অংশে কাটা-ছেঁড়া বা ক্ষত হলে প্রোটিন দ্রুত কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে, ফলে ক্ষত দ্রুত সারে।

সাধারণ কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবারের তালিকা

ডিম
মাছ (বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ)
মুরগির মাংস
গরু-খাসির মাংস
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন- ছানা, দই, পনির)
বাদাম ও বীজ (যেমন- কাঠবাদাম, তিসি, তিল, চিনাবাদাম)
ডাল-সবজি (যেমন- মসুর ডাল, ছোলা, মুগ ডাল)
সয়াবিন ও টোফু
ছাতু বা বুটের গুঁড়া

কিছু সতর্কতা

অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে কিডনির ওপর চাপ পড়তে পারে, বিশেষ করে যাদের কিডনির সমস্যা আছে।
খুব বেশি মাংসজাতীয় প্রোটিন খেলে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে।
সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা উচিত।
শিশু, বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।

প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরের সামগ্রিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ, পেশি গঠন ও শরীরের সুস্থতার জন্য দৈনিক খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন রাখা উচিত। তবে অতিরিক্ত বা অসমতা এড়িয়ে সঠিকভাবে প্রোটিন গ্রহণ করলেই এর পূর্ণ উপকারিতা ভোগ করা সম্ভব।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!