শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৭:১৮ এএম

নওগাঁয় সড়কে আলু ফেলে কৃষকদের মানববন্ধন

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৭:১৮ এএম

নওগাঁয় সড়কে আলু ফেলে  কৃষকদের মানববন্ধন

ধান-গমের মতো আলুর দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন নওগাঁর আলুচাষিরা।

গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার কৃষক পরিবার ও আলু ব্যবসায়ী পারিবারের ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষকেরা বলেন, বাজারে আলুর দাম উৎপাদন খরচের অর্ধেকেরও নিচে। প্রতি কেজি আলুতে ১৭-১৮ টাকা লোকসান হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে ঋণ করে আলু চাষ করায় বাজারে দাম না পেয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন আলুচাষিরা।

নওগাঁ সদর উপজেলার কৃত্তিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘ফসফেটের দাম অনেক বেশি, সেই হিসাবে শুরু থেকেই এ বছর আলুর দাম নেই। খরচের টাকাই উঠছে না। ধান-চালের সরকারি দাম নির্ধারণ করতে পারলে আলুর কেন হবে না? সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত আলুর দাম যেন নির্ধারণ করে দেয়।’

সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের আরেক কৃষক বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে ধানের দাম বেশি, চালের দামও বেশি। কিন্তু আলুর কোনো দাম নাই। হিমাগারেও খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এক মণ আলু চাষ করতেই ১২০০-১৩০০ টাকা করে খরচ হয়েছে। বাজারে এখন আলু বিক্রিই করতে হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা মণ। তাহলে আমরা যাব কোথায়? সরকার যদি আমাদের জন্য কোনো উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাব।

হাঁপানিয়া এলাকার আলুচাষি সাইফুল আলম বলেন, গরু বিক্রি করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু বাজারে এখন আলু বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে প্রতি কেজি আলুতে আগের থেকে ৪ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে। এক কেজি আলু উৎপাদনসহ হিমাগারে রাখতে ২৫-২৬ টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পাইকারি দরে ১১-১২ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। ঋণের টাকা পরিশোধ করা দূরের কথা, খরচের টাকা ওঠানো নিয়েই এখন চিন্তার মধ্যে আছি।

এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। বছরের এই সময়টাতে অন্যান্য সবজি বাজারে বেশি থাকায় মানুষ আলু কম কেনে। সরকারের পক্ষ থেকে ওএমএস অথবা টিসিবির মাধ্যমে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!