শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিলেট ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৫:৫৯ এএম

দুদকের প্রতিবেদন - জড়িত সরকারি কর্মকর্তা রাজনীতিবিদসহ ৫২  ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৫:৫৯ এএম

দুদকের প্রতিবেদন - জড়িত সরকারি কর্মকর্তা রাজনীতিবিদসহ ৫২  ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জের পর্যটন এলাকা সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাট তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিলেট দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রতিবেদনটি দাখিল করেছে ঢাকায়। এতে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ছয় কর্মকর্তা এবং জেলা ও থানা পুলিশের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা ছাড়াও সাদাপাথর লুটে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো ও বর্ডার গার্ড বিজিবিকেও দায়ী করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ তুলে দুদক। এ ছাড়া এ ঘটনায় চারটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ ৪২ জন পাথর লুটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয় দুদুকের প্রতিবেদনে। এ তালিকায় বিএনপির ২১, আওয়ামী লীগের সাত এবং জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির দুজন করে নেতার নাম রয়েছে। এ ছাড়াও আছে মাদ্রাসা শিক্ষক ও ব্যবসায়ীসহ ১০ জনের নাম।

দুদকের তালিকায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সিলেটের জেলা প্রশাসক, কোম্পানীগঞ্জে দায়িত্ব পালনকারী চার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সিলেটের পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও বিজিবির নামও রয়েছে।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা ও যোগসাজশ ছিল। নদী ও পর্যটন এলাকা থেকে পাথর চুরি করে প্রথমে স্থানীয় স্টোন ক্রাশার মেশিন কারখানায় জমা করা হয়। পরে তা ভাঙানো হয়, যাতে চুরি হওয়া পাথরের অস্তিত্ব পাওয়া না যায়।

পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি না থাকলেও গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে, বিশেষ করে গত ৩ মাস ধরে পাথর উত্তোলন চলতে থাকে। পর্যটন এলাকাটি সংরক্ষিত পরিবেশ এলাকা হওয়া সত্ত্বেও ১৫ দিন আগে থেকে নির্বিচারে পাথর উত্তোলন ও আত্মসাৎ হয়েছে। প্রায় ৮০ ভাগ পাথর তুলে এলাকায় অসংখ্য গর্ত ও বালুচরে পরিণত হয়েছে।

তালিকায় বিএনপির যাদের নাম: দুদকের প্রতিবেদনে পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত বিএনপির ২১ নেতাকর্মীর নাম এসেছে। তারা হলেনÑ  সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য হাজী কামাল (পাথর ব্যবসায়ী), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া (পাথর ব্যবসায়ী), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু (পাথর ব্যবসায়ী), সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার (পাথর ব্যবসায়ী), সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ (পাথর ব্যবসায়ী), জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী, মানিক মিয়া, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরাণ, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম ওরফে স্বপন, সিলেট জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বকস।

রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাতজন: দুদকের তালিকায় আরও আছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাতজনের নাম। তারা হলেনÑ আওয়ামী কর্মী বিলাল মিয়া (পাথর ব্যবসায়ী), শাহাবুদ্দিন (পাথর ব্যবসায়ী), গিয়াস উদ্দিন (পাথর ব্যবসায়ী), কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান।

জামায়াত ও এনসিপির চার নেতা:

বাদ যায়নি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের নামও। দল দুটির চার নেতা এ পাথর চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছে দুদক। তারা হলেনÑ সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন। এ ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টির সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

আরও ১০ জন: এ ছাড়াও অনুসন্ধানে সাদাপাথর চুরির সঙ্গে আরও যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তারা হলেনÑ কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জের মৃত ছোরাব আলীর ছেলে আনর আলী, কলাবাড়ীর মৃত ছাদির খাঁর ছেলে উসমান খাঁ, একই এলাকার মৃত আলি হোসেন কমান্ডারের ছেলে ইকবাল হোসেন আরিফ ও দেলোয়ার হোসেন জীবন, ভোলাগঞ্জের মৃত ইসহাকের ছেলে আরজান মিয়া, একই এলাকার দুলা মেম্বারের ছেলে জাকির, বর্ণির নয়মুল্লার ছেলে আলী আকবর, গওখালের পাড়ের আকবর আলীর ছেলে আলী আব্বাস, বুড়ুদেও গ্রামের মৃত নূর মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল এবং সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলার জামেয়া ইসলামিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মুকাররিম আহমেদ।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!