শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


খুলনা ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৬:২৪ এএম

দেশে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল  শিল্পের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে - বললেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৬:২৪ এএম

দেশে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল  শিল্পের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে - বললেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতিটি শিল্পই রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে হয়তো পুরোনো প্রযুক্তির পাওয়ার ক্যাবল বা টেলিকম ক্যাবলের চাহিদা কমবে। আবার নতুন প্রযুক্তির ক্যাবলের চাহিদা বাড়বে। বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড বিভিন্ন প্রজন্মের ক্যাবল উৎপাদন করে। এখানে ক্রমাগত পুরোনো প্রযুক্তির বদলে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে কার্যকর মার্কেটিং পলিসি ও মার্কেটিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার শিরোমণি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড (বাকেশি) পরিদর্শন শেষে প্রতিষ্ঠানটির সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, কমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র বিবেচনায় নিলে দেশে ৫ লাখ কিলোমিটার ফাইবার অপটিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু দেশে কেবল দেড় লাখ কিলোমিটার ফাইবার নেটওয়ার্ক রয়েছে। আবার বিদ্যমান নেটওয়ার্কের ৭৫ শতাংশই ওভারহেড নেটওয়ার্ক, যা বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। যোগাযোগ নেটওয়ার্ককে মানসম্মত ও কম ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে সংযোগগুলোকে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া দরকার। আবার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবা খাতের পুরোনো ক্যাবল নেটওয়ার্ককে একক ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল নেটওয়ার্কের অধীনে আনা এখন সময়ের দাবি। তাই বাংলাদেশে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল শিল্পের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, এই ফ্যাক্টরির জন্য পরিবেশবান্ধব ও দূষণমুক্ত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন অতি দ্রুত গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে এখানকার উৎপাদিত পণ্যের ব্রান্ড ভ্যালু বাড়বে। একই সঙ্গে এখানে উৎপাদিত পণ্যের নতুন ও সম্ভাবনাময় বাজার ও ক্রেতা খুঁজে বের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ও সার্বিক সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রয়োজন ও দাবিগুলোর বিষয়ে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাকেশি ১৯৭২ সাল থেকে টেলিকম কপার ক্যাবল উৎপাদন করে আসছে। এ ছাড়া ২০১০ সাল থেকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, ২০১৬ সাল থেকে এইচডিপিই টেলিকম ডাক্ট এবং ২০১৯ সাল থেকে ওভারহেড কন্ডাক্টার ও পাওয়ার ক্যাবল উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাৎসরিক ৫০ হাজার কন্ডাক্টর কিলোমিটার টেলিকম ক্যাবল, ২৫ হাজার কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার এইচডিপিই টেলিকম ডাক্ট এবং ৬০০ মেট্রিক টন ওভারহেড কন্ডাক্টার ও পাওয়ার ক্যাবল উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ২৮ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম, বাকেশির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, বাকেশির কর্মকর্তাসহ সিবিএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেলিটক বাংলাদেশের খুলনা বিভাগীয় অফিস, বিভাগীয় পোস্টমাস্টার জেনারেল অফিস ও বিটিসিএলের বিভাগীয় অফিস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!