বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ২০২৪ সালের টেকসই ব্যাংক রেটিংয়ে (সাসটেইনেবিলিটি রেটিং) সিটি ব্যাংক শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। এ নিয়ে টানা পঞ্চম বছর সিটি ব্যাংক দেশের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় তাদের অবস্থান ধরে রাখল। তবে এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে রেটিংয়ে ব্যাংকগুলোর যার যার অবস্থান ঘোষণা করেছে, যেখানে সিটি ব্যাংককে প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফিনের হাতে এ-সংক্রান্ত ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে এই টেকসই বা সাসটেইনেবল ব্যাংক রেটিং বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি প্রধান দৃষ্টিকোণ থেকে প্রস্তুত করছে: ১. ফাইন্যান্সিয়াল সাসটেইনেবিলিটি, যাতে দেখা হয় মূল ব্যাংকিং সূচকগুলোতে ব্যাংকের পারফরম্যান্স, যেমনÑ মূলধন পর্যাপ্ততা, তারল্য, সম্পদের মান, লাভজনকতা, খরচ নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা, গ্রাহকসেবা, দেশব্যাপী সেবার সহজলভ্যতা, সুশাসনের মান ইত্যাদি; ২. এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি, যেখানে বিচার করা হয় টেকসই অর্থায়ন, সবুজ অর্থায়ন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নিরিখে মূলত ব্যাংকের পরিবেশ ও জলবায়ুবান্ধব উদ্যোগগুলোকে।
সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন: “আমার কাছে ফাইন্যান্সিয়াল সাসটেইনেবিলিটি আমাদের দেশের জন্য এই মুহূর্তে পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এই রেটিং এখন উভয় বিষয়কেই বিবেচনায় নিচ্ছে, তাই এটা কার্যত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া ‘সেরা ব্যাংক’-এরই স্বীকৃতি। তাই আমাদের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সবাই, আমাদের গ্রাহক ও সব স্টেকহোল্ডার আজ সমানভাবে গর্বিত ও আনন্দিত।” তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের পর্ষদ ইতিমধ্যে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে এমন এক আর্থিক সংস্থায় রূপান্তর করতে, যা ‘ফিনটেক কোম্পানির মতো আচরণ করবে এবং পুরো জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আওতায় সেবা দেবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সেই লক্ষ্য পূরণের পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন