এসবিএসি ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি ইতিবাচক, উদ্বৃত্ত ১৬০০ কোটি টাকা

ব্যাংকিং খাতে নগদ অর্থের চরম সংকটের মধ্যেও চতুর্থ প্রজন্মের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সুদৃঢ় এবং আর্থিক সূচক স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকটির এক তথ্যে দেখা যায়, জুন ’২৫ শেষে এসবিএসি ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ডিসেম্বর ’২৪ শেষে ছিল ৯৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ছয় মাসের ব্যবধানে এসবিএসি ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য বেড়েছে ৬৫৪ কোটি টাকা বা ৬৮ শতাংশ।

দেশের অনেক ব্যাংক আমানত আহরণ ও ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও এসবিএসি ব্যাংকের আমানত ও ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। সূত্রমতে, জুন ’২৫ শেষে ব্যাংকটির আমানত ১০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা বিগত ছয় মাসের তুলনায় ৬৫০ কোটি টাকা বেশি। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বর ’২৪-এর তুলনায় ২৫০ কোটি টাকা বেশি।

এ প্রসঙ্গে এসবিএসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (চলতি দায়িত্বে) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এসবিএসি ব্যাংক আর্থিকভাবে টেকসই একটি স্থিতিশীল ব্যাংক। গ্রাহক আস্থা ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার কারণে ব্যাংকের আমানত দিনে দিনে বাড়ছে; একই সঙ্গে আমরা ভালো গ্রাহকদের ঋণ প্রদান অব্যাহত রেখেছি। এতে আমাদের আর্থিক সূচকে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে এবং তারল্য পরিস্থিতি শক্তিশালী করেছে। গ্রাহকের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের সক্ষমতা এই ব্যাংকের রয়েছে। তিনি আরও জানান, এসবিএসি ব্যাংক সর্বদা দায়িত্বশীল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মাচার পরিপালনে আমরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয়ে গ্রাহকসেবা আরও উন্নত ও সম্প্রসারণ করব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রচলিত ব্যাংকগুলো আমানতের ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ প্রদান করতে পারে। সেখানে এসবিএসি ব্যাংকের ঋণ-আমানতের অনুপাতসীমা (এডিআর) ৮৩ শতাংশ, যা তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকটির মজবুত ভিতের বার্তা দেয়। তথ্যে আরও জানা যায়, এসবিএসি ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততার হার সাড়ে ১২ শতাংশের স্থলে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, নগদ জমার হার (সিআরআর) ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ (প্রয়োজন ৪ শতাংশ) এবং সংবিধিবদ্ধ তারল্য হার (এসএলআর) ১৩ শতাংশের স্থলে ১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ রয়েছে, যা এসবিএসি ব্যাংকের ইতিবাচক আর্থিক সূচক স্বস্তিদায়ক বার্তা বহন করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।