বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাসান আরিফ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম

সহজ শর্তে বাজেট সহায়তা দিবে এআইআইবি

হাসান আরিফ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জলবায়ু নীতিভিত্তিক বাজেট-সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে। বাংলাদেশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এআইআইবি মহাপরিচালক, পাবলিক সেক্টর (অঞ্চল-১) রজত মিশ্র সর্বোচ্চ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে তিন কিস্তিতে এই অর্থ পাবে বাংলাদেশ। আর ২০২৬ সালে প্রথম কিস্তি মিলবে বলে ইআরডি সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেট সহায়তার লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জলবায়ু নীতিগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। আর এই ঋণ পেতে আইএমএফের মতো অত কঠিন কোনো শর্তের মধ্য দিয়েও যেতে হবে না বাংলাদেশকে। তবে নমনীয় কিছু শর্ত থাকবে, তা ফলোআপও করবে এআইআইবি।

প্রস্তাব অনুসারে, ১.৫ বিলিয়ন ঋণ সমান তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। ঋণের প্রথম কিস্তি ০.৫ বিলিয়ন ২০২৬ সালের মধ্যে পাওয়া যাবে আশা করা হচ্ছে। পরবর্তী দুই কিস্তি ২০২৭ সালে এবং চূড়ান্ত কিস্তি ২০২৮ সালে আসতে পারে।

কিস্তি পেতে সরকারকে কিছু সংস্কারও করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে, জ্বালানি বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু নীতিভিত্তিক বাজেট সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, ঋণসহায়তা কর্মসূচি এবং তিন বছর ধরে করা সংস্কার নিয়ে আলোচনা করার জন্য এআইআইবির একটি মিশন চলতি মাসে (সেপ্টেম্বর) ঢাকা সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পিত পরিকল্পনার আওতায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ (ইএমআরডি) একটি কেন্দ্রীয় তদারকি কমিটি প্রতিষ্ঠা করবে এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং এর কোম্পানিগুলো একটি তত্ত্বাবধান কমিটি গঠন করবে।

অন্যদিকে, বর্তমান সমন্বিত জ্বালানি নীতি মূল্যায়নের জন্য সরকার একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করবে।

এ ছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাস খাতে সিস্টেম লস এবং কার্বন নির্গমন কমাতে, গ্যাস বিতরণ এবং বিলিংয়ের অনিয়মে সিস্টেম লস পর্যবেক্ষণ করতে এবং আবাসিক ও শিল্প খাতে প্রিপেইড/ইভিসি মিটার স্থাপন করতে নীতিমালা গ্রহণ করা হবে।

একইভাবে ইএমআরডি পরিষ্কার জ্বালানি উন্নয়ন প্রকল্প নিশ্চিত করতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে, উৎপাদন থেকে বিতরণ চ্যানেলে কার্বন শনাক্তকরণের নীতি প্রণয়ন করতে একটি তদারকি সংস্থা গঠন করবে।

এই প্রকল্পের আওতায় বৃক্ষরোপণ এবং কার্বন হ্রাসের জন্য প্রযুক্তি আপডেটের কর্মসূচি সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। যা চুক্তির শর্ত হিসেবে থাকবে।

প্রকল্পের আওতায় বিতরণ ডিপোতে ম্যানুয়াল কার্যক্রম কমাতে এবং জ্বালানি দক্ষতা নিশ্চিত করতে তেল খাতের অটোমেশন তদারকি করার জন্য বিপিসির একটি ‘অটোমেশন কমিটি’ গঠনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। যাতে অপচয় কমিয়ে আনা যায়।

এআইআইবি তাদের শর্তে বলেছে, সরকার পরিবেশবান্ধব কর্মপরিবেশ, ডেটা ইন্টিগ্রেশন এবং ব্যাবসায়িক কার্যক্রমের সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি বা নির্দেশিকা তৈরি করবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, ঋণসহায়তা কর্মসূচির আওতায় কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষিতে কার্বন নির্গমন কমাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা অন্যতম শর্ত। যাতে পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে আনা যায় এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হয়।

এই বাজেট সহায়তা কর্মসূচির আওতায় নির্মাণ প্রক্রিয়া পরিবেশবান্ধব করার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এআইআইবি তার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।

তিনি বলেন, গত অর্থবছরে এআইআইবি তার জলবায়ু নীতিভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ দিয়েছে।

কর্মকর্তা আরও জানান, এআইআইবির একটি দল আগামী মাসে বাংলাদেশে আসবে। এই সফরেই বাজেট সহায়তা কর্মসূচির বিশদ বিবরণ এবং নীতিগত সংস্কার চূড়ান্ত করা হবে।

Link copied!