দুই দিনের ব্যবধানে ফের ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৫.৫ মাত্রার নতুন কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে রোববার রাতে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় অনেক গ্রাম। এতে এরই মধ্যে প্রাণ গেছে ১ হাজার ৪ শতাধিক মানুষের। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। ধসে পড়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। নতুন ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
প্রথম যে ব্যক্তির সঙ্গে তার দেখা হয়, তিনি হারিয়েছেন পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে। চারপাশে শুধু আহত আর মৃতদেহ পড়ে ছিল। ‘কিছু গ্রামে প্রতিটি পরিবার থেকে মাত্র দু-তিনজন মানুষ বেঁচে আছে। এমন মৃত্যুর মিছিল আমি আগে কখনো দেখিনি,’ বলেন তিনি। ‘নিজের হাতে তিন শিশুকে এক কবর আর দুই তরুণকে আরেক কবরে রাখলাম’ কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাসরুল্লাহ খান। কাদামাটির ইটের ঘরগুলো ভেঙে পড়েছে একের পর এক। খাটিয়ায় করে লাশ বহন করছে গ্রামবাসী।
শিশুদের লাশ রঙিন চাদরে জড়ানো, পুরুষেরা কুড়াল আর কোদাল দিয়ে খুঁড়ছেন কবর। রোববারের ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত এবং ৩ হাজার ১২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তালেবান সরকার। ধ্বংস হয়েছে অন্তত ৫ হাজার ৪০০ বাড়িঘর।মঙ্গলবার আবারও প্রবল ভূমিকম্প আঘাত হানে একই অঞ্চলে, বাড়তে থাকে আতঙ্ক ও ক্ষয়ক্ষতি। কর্মকর্তারা জানান, কুনারের তিনটি গ্রাম সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শুধু সেখানেই মারা গেছেন ৬০০ জনের বেশি। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এরইমধ্যে ৪০টি ফ্লাইটে ৪২০ জন আহতকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন