কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ায় উচ্ছেদ ঠেকাতে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
পরে বিমানবন্দর মোড়ে হাজারো নারী-পুরুষ সড়কে অবরোধ করায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এ সময় তারা সেনাবাহিনীর সাজোয়া যান আটকে দেন এবং বিআইডব্লিউটিএর বুলডোজার ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বসতি না ছাড়ার ঘোষণা দেন।
অবস্থা বেগতিক দেখে অবশেষে দুপুর ১২টার দিকে সেনা, পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এর মধ্য দিয়ে ৫ দিনের এই উচ্ছেদ অভিযানের শেষদিনে থমকে দাঁড়ায় প্রশাসনের কার্যক্রম। মানুষের প্রতিরোধের মুখে ফিরে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাঁকখালী নদীর জমি পরিমাপ না করেই নির্বিচারে উচ্ছেদ চালানো হচ্ছে। এতে বৈধ মালিকানার জমি থেকেও কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফর রহমান কাজল ও সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল জনগণের পক্ষে সঠিক সমাধানের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযানের আহ্বান জানান।
জানা যায়, গত সোমবার থেকে বাঁকখারী নদীর নুনিয়াছড়ায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। সেদিন থেকেই বিক্ষোভ করে আসছেন স্থানীয়রা। গত মঙ্গলবার নদীর কস্তুরাঘাট এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এজাহারনামীয় ৯ জনসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বিক্ষোভের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়নি। তবে নদীর সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।