ঢাকা শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিপাকে খামারিরা

কেজি দরে খড় বিক্রি

আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:৩১ এএম
কেজি দরে খড় বিক্রি
  • বৃষ্টির কারণে মাঠের খড় পচে গেছে, সংকট তৈরি হয়েছে
  • খামারিরা চড়া দামে খড় কিনতে বাধ্য হচ্ছেন
  • উপজেলায় প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার গরু রয়েছে

রংপুরের পীরগঞ্জে গো-খাদ্যে সংকট দেখা দিয়েছে। বর্ষার পানিতে ধানের খড় (পল) পচে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে খড়ের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে খামারিদের চড়া দামে খড় কিনতে হচ্ছে।

উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের গ্রাম ও হাটবাজারে প্রতিদিনই খড় বিক্রি হচ্ছে। তবে এবার পাল্লা পাথরে নয়, কেজি দরে খড় বিক্রি হচ্ছে। দিনাজপুর থেকে বড় পাইকাররা ট্রাকে করে খড় এনে পীরগঞ্জের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করছে। এরপর স্থানীয় হাটবাজার ও গ্রামে বিক্রি হচ্ছে এসব খড়।

খড় ব্যবসায়ী মোকছেদুল ইসলাম জানান, ‘দিনাজপুর থেকে ৫৫০ টাকা মণ দরে খড় কিনে এলাকায় ৬২০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি। এ ব্যবসায় খুব বেশি লাভ নেই, পরিশ্রম বেশি।’ তিনি জানান, প্রতিদিন ২০-২৫ মণ খড় খুচরা বিক্রি করতে হয়।

খামারি মনির হোসেন বলেন, ‘৮ বিঘা জমির খড় বর্ষার পানিতে পচে গেছে। এখন বাইরের খড় কিনে গরুকে খাওয়াতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে গেছে।’ কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলার প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কিন্তু বর্ষার পানি ও বৃষ্টির কারণে খড়ের একটি বড় অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কৃষক হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটায় খড় মজুত করা যায়নি। ফলে গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জে ১ হাজার ৩৫০টি নিবন্ধিত গাভীর খামারসহ মোট ৩ হাজার ৫২৩ জন খামারি আছেন। সব মিলিয়ে গরুর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল কবির বলেন, ‘বোরোধান ঘরে ওঠার আগে বর্ষায় খড় পচে নষ্ট হয়েছে। এ কারণে খড়ের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এ অঞ্চলে কয়েক ধরনের ঘাস চাষ হচ্ছে, যা আংশিকভাবে খড়ের ঘাটতি পূরণ করছে।’