বিদেশি অপরাধ চক্রকে প্রয়োজনে বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার ইকুয়েডর সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এসব অপরাধী চক্রের সন্ধান পেতে অন্য রাষ্ট্র আমাদের সহায়তা করবে। তাদের দমনে দরকার হলে উড়িয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ইকুয়েডরের বৃহত্তম দুটি অপরাধগোষ্ঠী লোস লোবোস এবং লোস কোনেরোসকে শিগগিরই বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করবে যুক্তরাষ্ট্র।
সন্ত্রাসী তালিকাভুক্তির অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র এখন এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পদ জব্দ করতে পারবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী পদক্ষেপ নেওয়ার মতো গোয়েন্দা তথ্য ইকুয়েডর সরকারকে অবাধে সরবরাহ করতে পারবে।
ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদকবাহী এক নৌকায় মার্কিন বাহিনীর হামলা চালানোর পর এ হুঁশিয়ারি দেন রুবিও। হোয়াইট হাউসের দাবি অনুযায়ী, ওই হামলায় ১১ জন নিহত হন এবং তারা সবাই ভেনেজুয়েলাভিত্তিক অপরাধগোষ্ঠী ত্রেন দে আরাহুয়ার সদস্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, ভেনেজুয়েলান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ইশারায় ওই গোষ্ঠী পরিচালিত হয়।
আইন বিশেষজ্ঞরা বিবিসি ভেরিফাইকে বলেন, ওই অভিযানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন হয়ে থাকতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর দাবি করে, ভেনেজুয়েলার দুটি সামরিক বিমান মার্কিন একটি জাহাজের কাছে উড়ে গিয়ে উসকানিমূলক আচরণ করেছে এবং আমাদের মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে ভেনেজুয়েলা এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন