বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:৪৬ এএম

চলাচলের নিয়ম না মেনে চালকদের বিক্ষোভ

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:৪৬ এএম

চলাচলের নিয়ম না মেনে  চালকদের বিক্ষোভ

চাঁদপুর শহরে যানবাহন চলাচলে আটটি নিয়ম বেঁধে দেওয়া জেলা, পৌর, পুলিশ প্রশাসনসহ অংশীজনরা। কিন্তু এই নিয়ম মানতে নারাজ অটোরিকশা, অটোবাইকসহ অন্য যানবাহন চালকেরা। তারা শহরের প্রবেশমুখে যানবাহন বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে। ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে একযোগে শহরের পুরান বাজার, নতুন বাজার ব্রিজের পালবাজার অংশে এবং চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়কের পূর্ব মাথায় চালকরা বিক্ষোভ করে। যার ফলে শহরে কোনো যানবাহন প্রবেশ এবং বের হতে পারেনি। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বাহনের যাত্রীরা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা হয়।

শহরের পালবাজার গেটে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজের নিচের সড়ক থেকে পুরান বাজার পর্যন্ত বিশাল যানজট। নিচের সড়কে চালকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। তাদের বক্তব্য, প্রশাসনের দেওয়া নিয়ম তারা মেনে চলতে পারবে না। তারা ‘ডিসি, ঘুষখোর’ বলে সেøাগান দিতে থাকে। এ সময় চালকদের বিক্ষোভের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং চালকদের পক্ষে বক্তব্য দেন।

চালকরা বলছেন, ‘প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে লাল ও সবুজ রঙের অটোরিকশা এক দিন করে শহরে চলাচল করবে। কিন্তু চালকদের বক্তব্য হচ্ছে এ নিয়ম কার সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়েছে। আমরা এ নিয়ম মানব না। একদিন রোজগার বন্ধ থাকলে আমাদের সংসার চলবে কীভাবে।’

দীর্ঘ সময় বিক্ষোভের পর ঘটনাস্থলে আসেন পৌর প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া ও পৌরসভার কর্মচারীরা। তারা চালকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যার কথা শুনেন।

পৌর প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া বলেন, জেলা প্রশাসকসহ সবার সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন আপনারা যদি না মানেন তাহলে কিছু করার নেই। আপনারা আগে যেভাবে ছিলেন সেভাবে গাড়ি চালান। এরপর চালকদের আটকে রাখা সব যানবাহন ছেড়ে দিয়ে সড়ক স্বাভাবিক করে দেয়।

এদিকে একই সময় চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ সড়ক বন্ধ করে দেয় চালকরা। সেখানে আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী বাস, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন বহু যাত্রী। অনেক যাত্রী হেঁটে লঞ্চঘাট এবং বাসস্ট্যান্ডের দিকে রওয়ানা হন।

প্রসঙ্গত, শহরে যানবাহন চলাচলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ নিদের্শনা বাস্তবায়নের নির্ধারিত দিন ছিল ১০ সেপ্টেম্বর। এর আগে ৩১ আগস্ট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় যানবাহন চলাচলের নিয়মের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম দিনেই গতকাল এ কার্যক্রম অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের মুখে আগের নিয়মে ফিরে যায় চালকরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!