রাজধানীর বনশ্রী-আফতাবনগর অঞ্চলের বাসিন্দাদের সহজ যাতায়াতের জন্য নড়াই নদীর (রামপুরা খাল) ওপর তিনটি সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হবে আজ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রধান অতিথি হিসেবে এ সেতুর উদ্বোধন করবেন। ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জোবায়ের হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বেলা ১১টায় আফতাবনগরের লেকভিউ রোডে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আফতাবনগর, বনশ্রী, রামপুরার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন। সেতুগুলো নির্মাণ হলে বাড্ডা-আফতাবনগর-বনশ্রীবাসী-খিলগাঁওবাসীর দীর্ঘদিনের কষ্ট লাগব হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আফতাবনগর ও রামপুরার বনশ্রী আবাসিক এলাকা দুটি পাশাপাশি। পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হওয়ায় বসবাসের জন্য বাসিন্দাদের কাছে বেশ পছন্দের এ এলাকা দুটি। কিন্তু আফতাবনগর ও বনশ্রীকে আলাদা করেছে মাঝখানে অবস্থিত নড়াই নদী। নদী হলেও এটি দেখতে মৃতপ্রায় খালের মতো। খুব কাছাকাছি হওয়ার পরও খালের মতো এ নড়াই নদী আফতাবনগর ও বনশ্রী এলাকার দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা। মূলত নড়াই নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় বেড়েছে এ দূরত্ব। ফলে আফতাবনগরের লেক ভিউ রোড থেকে বনশ্রী যানবাহনে যাতায়াতে সময় লাগে আধা ঘণ্টারও বেশি, বাড়তি ঘুরতে হয় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। আবার মেরাদিয়া-বনশ্রী থেকে কেউ আফতাবনগর যেতে চাইলে বাড্ডা ইউলুপ ব্যবহার করতে হয়। এ ক্ষেত্রে দূরত্ব বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় সাত কিলোমিটারে।
যানবাহনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ভোগান্তি কমাতে হেঁটে যাওয়ার জন্য আফতাবনগর থেকে মেরাদিয়া, বনশ্রী ও রামপুরা বরাবর পৃথক চারটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খুব বেশি জরুরি না হলে তারা যানবাহনের পরিবর্তে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করেন। তবে সাঁকোগুলো এখন নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বয়স্ক ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ দুর্ভোগ লাঘবেই ডিএনসিসি তিনটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন