মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ১১:২৭ পিএম

বললেন প্রধান উপদেষ্টা

তরুণরাই যুগে যুগে  এ দেশের ইতিহাস  রচনা করেছে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ১১:২৭ পিএম

তরুণরাই যুগে যুগে  এ দেশের ইতিহাস  রচনা করেছে

আমাদের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি আজ কেবল শিক্ষা ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই। তরুণরা স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এ তরুণরাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, তরুণরাই যুগে যুগে এ দেশের ইতিহাস রচনা করেছে। 

গতকাল সোমবার  ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ১২ তরুণকে ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তরুণদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মোহাম্মদ সজীব ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘উপস্থিত সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজকে (গতকাল) এখানে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ আয়োজনের জন্য আমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আজ (গতকাল) যারা পুরস্কার পেয়েছো তাদের আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা তারুণ্যের শক্তিকে উদযাপন করছি। এটিই আমাদের জাতির চালিকাশক্তি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যখন একটি দেশের যুবসমাজ সক্রিয় থাকে, উদ্যমী এবং উদ্ভাবনী শক্তিতে বলীয়ান হয়, তখন কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে রাখতে পারে না।’ 

চলার পথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, কখনো তা জনস্বাস্থ্যের সংকট, কখনো শিক্ষার অপর্যাপ্ত সুযোগ, আর কখনো পরিবেশগত বিপর্যয় মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, ‘কিন্তু এ চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে বরং এগুলোকে আমাদের নিজস্ব শক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমি আশা করি, এ কাজেও আমাদের তরুণরা নেতৃত্ব দেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবা কেবল আর্তমানবতার কল্যাণেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আত্ম-উন্নয়ন, চরিত্র গঠন এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের এক আদর্শ মাধ্যম। আমরা চাই, আমাদের তরুণেরা কেবল স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেই থেমে থাকবে না; সমাজের নীতিনির্ধারক, উদ্ভাবক এবং পরিবর্তনের স্থপতি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরবে। এটি তখনই সম্ভব হবে যখন তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে, প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করবে এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে মনোযোগী হবে।’ 

এ পুরস্কার কেবল একটি স্বীকৃতি নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমাদের জন্য একটি উদাত্ত আহ্বান, তোমরা আরও সাহসী হও, আরও নেতৃত্ব দাও এবং সমাজের কল্যাণে নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করো। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। স্বাস্থ্য খাতে তোমাদের একটি ক্ষুদ্র উদ্যোগ হাজারো শিশুকে রোগমুক্ত রাখতে পারে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তোমাদের সামান্য প্রচেষ্টা দেশের শিক্ষার মানকে বহুদূর এগিয়ে নিতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় তোমাদের সম্মিলিত প্রয়াস আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করতে পারে। মনে রাখবে, তোমাদের প্রতিটি ছোট ছোট প্রচেষ্টাই দেশের জন্য মস্ত বড় অর্জনের পথ তৈরি করবে।’

১২ তরুণ পেলেন ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড

স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ প্রদান করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

যারা পুরস্কার পেলেন, যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে অসাধারণ অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন। বগুড়ার সুরাইয়া ফারহানা রেশমা, মাগুরার মো. আক্কাচ খান এবং নোয়াখালীর মো. জাকির হোসেন। শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কার পান ঝালকাঠির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ ও গাইবান্ধার মো. শাহাদৎ হোসেন। দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে পুরস্কার পান পাবনার মো. দ্বীপ মাহবুব এবং রাজশাহীর হাসান শেখ। এ ছাড়া লালমনিরহাটের মো. জামাল হোসেন, কক্সবাজারের নুরুল আবছার এবং রাজশাহীর মো. মুহিন (মোহনা) জ্যেষ্ঠদের প্রতি আদর্শ সেবা/সমাজকল্যাণে অসাধারণ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হন। ক্রীড়া, কলা ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানে পুরস্কার পান সাতক্ষীরার আফঈদা খন্দকার এবং বান্দরবানের উছাই মং মার্মা (ধুংরী হেডমন)।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!