সিটি ব্যাংক এবং ইউএনএফপিএ আজ যৌথভাবে কমলাফুল ফার্মেসি উদ্যোগ চালু করেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নারীর ক্ষমতায়ন এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি সিটি ব্যাংক ও ইউএনএফপিএর প্রথম পারস্পরিক সহযোগিতামূলক উদ্যোগ এবং একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন আনুষ্ঠানিকভাবে এ অংশীদারিত্বে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মাহিয়া জুনেদ, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান; ইউএনএফপিএর স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান বিভাবেন্দ্র সিং রাঘুবংশী, কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট গুলালেক সোলতানোভা, প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট-আরবান হেলথ মো. আজমল হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্যোগটি ইউএনএফপিএ পরিচালিত সফল পাইলট কমলাফুল ফার্মেসি প্রকল্পের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পরিচালিত সেই প্রকল্পে দেখা গেছে, নারী ফার্মাসিস্ট ও অ্যাসোসিয়েটরা নারীদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক উন্নত পরামর্শ দিতে সক্ষম এবং প্রয়োজনীয় সেবার প্রবেশাধিকার প্রসারিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের ধারাবাহিকতায়, সিটি ব্যাংক প্রকল্পটির সম্প্রসারণ করছে, যাতে দেশে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং উন্নত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে বৃহত্তর ও স্থায়ী সামাজিক প্রভাব নিশ্চিত হয়।
ইউএনএফপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, ‘সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এ অংশীদারিত্ব প্রমাণ করে বেসরকারি খাত নারীর ক্ষমতায়ন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকারের প্রসারে কিভাবে রূপান্তরমূলক ভূমিকা রাখতে পারে। তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে গড়ে তোলা মানে সুস্থ পরিবার, শক্তিশালী সমাজ এবং আরও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনে বিনিয়োগ করা।’
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সামাজিক অন্তর্ভুক্তিও জরুরি। ইউএনএফপিএর সঙ্গে উদ্যোগটি কেবল তরুণীদের কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ নয়, বরং মর্যাদা, স্বনির্ভরতা ও নেতৃত্ব অর্জনের পথ তৈরি করবে। তরুণীদের ফার্মেসি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে গড়ে তলার মাধ্যমে আমরা শুধু তাদের জীবনই বদলে দিচ্ছি না, বরং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং বিশ্বস্ত পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের জীবনকেও ইতিবাচকভাবে বদলে দিচ্ছি। এটি আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন