- ইউএনওকে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অন্তরমোড় রাখালগাছি খেয়া ঘাটের দাবিদার শ্রী বিষ্ণু চৌধুরীসহ স্থানীয় কয়েকজন এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারীরা জানান, খেয়া ঘাটের লিজ পাওয়ার জন্য ইউএনওর কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে আরেক পক্ষ থেকে বেশি অর্থ নেওয়ার মাধ্যমে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। বিষ্ণু চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, তাদের পরিবার শত বছর ধরে ওই ঘাটে খেয়া চালিয়ে আসছে। কিন্তু নিয়ম না মেনে অন্যকে লিজ দেওয়া হয়। তিনি বিষয়টি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করলে আদালত লিজ স্থগিতের আদেশ দেন। এরপরও বর্তমান লিজ গ্রহীতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দেবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘মনিরুজ্জামানের মাধ্যমে ইউএনওর কাছে আমরা দুই লাখ টাকা দিয়েছিলাম। পরে অন্য পক্ষ চার লাখ টাকা দিলে ঘাট হস্তান্তর করা হয়।’
তবে উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ‘শুধু পরামর্শমূলক আলাপ হয়েছে, টাকা লেনদেন হয়নি।’
ইউএনও নাহিদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগকারীরা প্রকৃত পাটনি নন। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রমাণ থাকলে জেলা প্রশাসক বা দুদককে দিতে পারেন।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার জানান, ‘সংবাদ সম্মেলনকে আমরা অফিসিয়ালি গণ্য করতে পারি না। লিখিত অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে সম্প্রতি নুরাল পাগলার দরবারে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ইউএনও নাহিদুর রহমানকে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত করা হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন