মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০১:৩৫ এএম

দৃষ্টিহীন গণি মিয়ার বাঁশের ঝুড়িতে জীবনের আলো

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০১:৩৫ এএম

দৃষ্টিহীন গণি মিয়ার বাঁশের  ঝুড়িতে জীবনের আলো

চোখের আলো হারিয়েছেন অনেক আগেই, কিন্তু জীবনের আলো হারাননি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বুড়িচালা গ্রামের ৬৭ বছরের আব্দুল গণি। ১৮ বছর আগে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে এখন তিনি পুরোপুরি অন্ধ। তবুও কারো কাছে হাত পাততে চান না। বন-জঙ্গল থেকে বাঁশ কুড়িয়ে এনে ইশারায় কেটে ফেলেন, আবার সেসব বাঁশ চিড়ে বানান কুলা, টেপারি আর ঝুড়ির মতো হস্তশিল্প। প্রতিদিন আলিশার বাজারে বসে সেগুলো বিক্রি করেন। দিনের শেষে হাতে আসে মাত্র ৭০-৮০ টাকা, এটাই সংসারের একমাত্র ভরসা। গণি মিয়ার স্ত্রী হাউসি বেগম (৬২) দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজড হয়ে শয্যাশায়ী। দুই ছেলে প্রবাসে থাকলেও তারা আর্থিক সহায়তা দেন না। তাই কঠিন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই বার্ধক্যের দিন কাটছে এই দম্পতির।

প্রতিবেশী জাকির হোসেন বলেন, ‘গণি ভাই খুব পরিশ্রমী মানুষ। চোখে দেখেন না, তবুও কখনো কারো কাছে হাত পাতেন না। সরকারি সাহায্য বা কোনো ভালো মানুষের সহায়তা পেলে তাদের জীবনে কিছুটা স্বস্তি আসত।’ এলাকাবাসী মাঝে মাঝে সাহায্যের হাত বাড়ালেও তা পর্যাপ্ত নয়। তবে গণি মিয়ার জীবনসংগ্রাম দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, গণি মিয়াকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। অন্ধ হয়েও তার বাঁশ/বেতের হস্তশিল্প তৈরি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!