রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তালতলার জনতা হাউজিং গেটের সামনে ফুটপাতে চায়ের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মো. বাবলু (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত বাবলু আগারগাঁওয়ের তালতলা এলাকার মো. সেলিম মিয়ার ছেলে। বাবলু ওই এলাকায় চা বিক্রি করতেন বলে জানা গেছে। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক। নিহতের স্বজন আব্দুর রউফ জানান, বাবলু আগারগাঁওয়ের তালতলা জনতা হাউজিং গেটের সামনে একটি টং দোকানে চা বিক্রি করতেন।
গত রাত ৮টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন তার চায়ের দোকান উচ্ছেদ করে ওই জায়গা দখল করতে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের রবিউল নামের একজন লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে বাবলু অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি গতকাল বুধবার নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক। তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদের দুটি গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ফুটপাতের ওপর দোকান দখল করে একটি পক্ষ অফিস বানিয়েছে, আরেকটি পক্ষ এই অফিস থাকুক তা চায় না। গণঅধিকারের আরেকটি পক্ষ অফিসটি ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে এক ব্যক্তি আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন