শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ১২:০৭ এএম

জাল দলিল করে খাসজমি দখল

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ১২:০৭ এএম

জাল দলিল করে খাসজমি দখল

*** গত ১৭ বছর ‘যুব সমবায় মৎস্যজীবি সমিতি’র সদস্যদের তাড়িয়ে জোরপূর্বক দখল
*** উপার্জনের উৎস হারিয়ে অসহায়ের জীবনযাপন করতে হচ্ছে ৩৮টি পরিবার

যশোরের শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া নাইকোর বিলে সরকারি ১৫ একর (৪৫ বিঘা) খাস জলাশয় জাল কাগজপত্র করে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। বিগত ১৭ বছর ‘যুব সমবায় মৎস্যজীবি সমিতি’র সদস্যদের তাড়িয়ে দিয়ে সরকারি এই খাসজমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। এতে উপার্জনের উৎস হারিয়ে অসহায়ের জীবনযাপন করতে হচ্ছে ৩৮টি পরিবারকে। তবে দখলকারীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হয়েছেন তারা। অন্যদিকে ভূমি অফিস বলছে, সরকারের খাসজমি উদ্ধারে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত ওই জলাশয়  দখল মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেবেন।

এলাকার লোকজন ও মৎস্যজীবিরা জানান, শার্শা উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়ায় অবস্থিত বড়বাড়ি লাইকার বিল। স্বাধীনতার পর থেকে ওই এলাকার যুব সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৩৮ টি মৎস্যজীবি পরিবার সেখানে মাছ চাষ করে আসছে। এরপর বিগত আওয়ামী সরকারের ২০০৯ সাল থেকে এলাকার প্রভাবশালীরা জমি নিজেদের দখলে এনে জাল দলিল করে ভোগ দখল করে আসছে। এলাকার ভূমিহীন এবং সমবায়ের মাধ্যমে যারা ভোগ দখল করত তাদের তাড়িয়ে দেয় লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে।

স্থানীয় ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, আব্দুর রহমান বলেন, নাইকোর বিলের গোড়পাড়া মৌজার সাবেক ১৪৪২নং দাগ বর্তমান ৩৮৫৩, ৩৮৫৫, ৩৮৬৫,৩৮৫৭ ও ৩৮৫৬নং দাগের মোট ১৫ একর অর্থাৎ ৪৫ বিঘা জমি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী গোড়পাড়া গ্রামের মোকছেদের ছেলে মতিয়ার রহমান, নজরুল ইসলাম, আলীমুর এবং আব্দুল ও একই গ্রামের শাহাদতের ছেলে আব্দুস সাত্তার ও আলীম জাল দলিলের মাধ্যমে জমি জবরদখল করে নিজেরা সেখানে মাছ ও ধানচাষ করছে। সেখানে সরকার কর্তৃক ভূমিহীনদের মাঝে যে জমি দলিল করে দিয়েছিল সেসব জমিও তারা জাল দলিলের মাধ্যমে নিজেরা ভোগদখল করছে।

এতে মৎস্যজীবিরা বেকার হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনে জমি ফিরে পাবার আশায় ভুক্তভোগীরা ইতিমধ্যে ভূমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে জলাশয়টি দখলের পর থেকে অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটছে অনেকের পরিবার। জমি উদ্ধারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন মৎস্যজীবিরা।

এদিকে ভোগ দখলকারী পরিবারের সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা ৮০’র দশকে গোড়পাড়া গ্রামের কেরামত লক্ষনপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, আব্দুল ও রয়েশ চন্দ্রের কাছ থেকে মোট ১৮ বিঘা জমি ক্রয় করি। এসব জমির খাজনা আমরা দিয়ে আসছি। তাহলে ভোগ দখল কেন ২০০৯ সালে গেলেন এতদিন জমি ক্রয় করে ফেলে রেখেছেন কেনÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কিছু আইনি প্রক্রিয়ার কারণে আমরা ওই জমি দেরিতে দখল করি।

গোড়পাড়া গ্রামের শাহাদতের ছেলে আব্দুর সাত্তার, আব্দুল আলিম, আব্দুল হাই ১১ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। যা নিয়েও অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সরকার যেসব জমি ভূমিহীন পরিবারদের দলিল করে দিয়েছিল ওই জমিও বিভিন্ন কৌশলে এরা তিন ভাই সু-কৌশলে জাল দলিলের মাধ্যমে নিজেদের দখলে নেয় এবং ২০২৬ সাল পর্যন্ত ওইসব জমির খাজনা পরিশোধ করা হয়েছে বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে লক্ষণপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের নায়েব আবুল খায়ের জানান, এসব জমি এক হাত থেকে অন্য হাতে বারবার বদল হয়েছে। সরকার যেসব জমি ভূমিহীনদের মাঝে দলিল মারফত দিয়েছিল তারাও কিছু কিছু বিক্রি করে গেছে। তবে তা জাল দলিল কি না তা তিনি জানেন না। তবে আব্দুল ছাত্তারের জমিতে ‘ক’ চিহ্নিত লাল দাগ রয়েছে। এটা সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটা আমরা দ্রুত জরিপ করে লাল পতাকা উত্তোলন করব।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!