ইউপি সদস্যের মাথা ফাটালেন মাদকসেবী

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে মাদকসেবীকে শাসন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার তিন দিন পর ইউপি সদস্যের মাথায় আঘাত করেছেন মাদকসেবী। এতে ৭৬ বছর বয়সি ইউপি সদস্য আমির হোসেনের মাথা ফেটে গেছে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মাদক সেবনকারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।

গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের চন্দনদীঘি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের ছেলে এটিএম হারুনুর রশিদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

গুরুতর আহত ইউপি সদস্য আমির হোসেন রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং চিয়ারী গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রেপ্তার মাদকসেবীর নাম লোকমান হাকিম (৪০)। তিনি তিলকপুর ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে চিয়ারী গ্রামে দুলাভাইয়ের বাড়িতে বসবাস করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি মাদক সেবনের পাশাপাশি বিক্রিও করতেন।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ইউপি সদস্য আমির হোসেন গ্রাম পুলিশ মো. একরামুল ইসলামের সঙ্গে লোকমান হাকিমের দুলাভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখেন যে, তিনি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গাঁজা সেবন করছেন। ইউপি সদস্য তাকে সেবনের ব্যাপারে নিষেধ করে লোকমান হাকিমের গালে চড় মারেন। এরপর ইউপি সদস্য ও চৌকিদার ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় চন্দনদীঘি বাজারে আমির হোসেন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বসে কথা বলার সময় লোকমান হাকিম পাশের একটি স’মিল থেকে কাঠের বাটাম এনে তার মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পালানোর সময় লোকমানকে বাজারের লোকজন আটক করে পুলিশে খবর দেন। রাত ৮টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় বাচ্চু রহমান বলেন, লোকমান হাকিম মাদকের ব্যবসা করতেন। আমরা তাকে নিষেধ করেও কোনো ফল পাইনি। ইউপি সদস্য আমির হোসেন ঘটনাটি দেখেছিলেন এবং তাকে শাসন করেছিলেন। তার প্রতিশোধে এই হামলা।

আহত ইউপি সদস্যের ছেলে এ টি এম হারুনুর রশিদ বলেন, বাবা শুধু মাদক সেবনের বিষয়ে তাকে বারণ করেছিলেন। কিন্তু লোকমান প্রতিশোধ নিতে কাঠের বাটাম দিয়ে তার মাথা ফাটিয়েছেন।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্যের মাথায় আঘাত করেছেন। তাকে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।