মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কাপের ম্যাচে রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি। জোড়া গোল করার পর একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন এই আর্জেন্টাইন সুপার স্টার। এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুই মৌসুমে অন্তত ৩৫ গোলে অবদান রাখলেন মেসি। পাশাপাশি খেলার ৭৪ ও ৮৬ মিনিটে করেন দারুণ ২টি গোল। এমএলএসের ইতিহাসে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে আট ম্যাচে একাধিক গোল করলেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। তার জোড়া গোলের মাঝখানে ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মিয়ামি ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ। মেসির রেকর্ড গড়া ম্যাচে নিউইয়র্ক সিটিকে ৪-০ গোলে হারায় মিয়ামি। এই জয়ে এমএলএস কাপের প্লে-অফে উঠল কোচ হাভিয়ের মাসচেরানোর দল।
খেলার দুই অর্ধেই এমএলএসের ইতিহাসে নাম লেখান আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি। ৪৩ মিনিটে নিউইয়র্কের ডিফেন্স-চেরা পাসে মিয়ামির মিডফিল্ডার ব্যালটাজার রদ্রিগেজকে দিয়ে গোল করান তিনি। এর মধ্য দিয়ে এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুই মৌসুমে ৩৫তম গোলে অবদান রাখলেন এই আর্জেন্টাইন। এরপর ৭৪ মিনিটে নিউইয়র্ক সিটি গোলকিপার ম্যাট ফ্রিসির মাথার ওপর দিয়ে ‘চিপ’ করে নিজের প্রথম গোলটি করেন মেসি। থুথুকা-ে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফেরা সুয়ারেজ গোল করার তিন মিনিট পর ডান প্রান্ত থেকে দারুণ কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মেসি।
নিউইয়র্কের সিটি ফিল্ড মাঠে দারুণ এই পারফরম্যান্সে মেজর লিগ সকারে এবারের মৌসুমে শীর্ষ গোলদাতার জায়গাও দখল করলেন মেসি। ২৩ ম্যাচে করলেন ২৪ গোল। ২৮ ম্যাচে ২২ গোল নিয়ে দুইয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি উইঙ্গার ডেনিস বউয়ানগা। টানা তৃতীয় ম্যাচ জেতা মিয়ামি এ নিয়ে লিগে গোল করায়ও অন্যদের সঙ্গে ব্যবধানটা আরও বাড়াল। এই মৌসুমে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬৪ গোল করেছে মিয়ামি। ৫৮ গোল নিয়ে দুইয়ে অরল্যান্ডো। এমএলএসে মিয়ামির সর্বশেষ ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই অন্তত ৩টি করে গোল দেখা গেল। এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্স অঞ্চলে ২৯ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইন্টার মিয়ামি। ৩১ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন। এবার সাপোটার্স শিল্ড জয়ের সুযোগ আছে মিয়ামির।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন