এশিয়া কাপে ফাইনালে খেলতে না পারার আফসোসে পুড়লেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একের পর এক ম্যাচ জয়ের সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছেন জাকের আলী অনিকরা। আজ শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে। শেষ ম্যাচটিও জয়ে রাঙিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানকে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা।
এ নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থবারের মতো একাধিক ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। এর আগে দুই ম্যাচের সিরিজে আফগানদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড রয়েছে তাদের। তবে তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানকে হারাতে পারেনি তারা। উল্টো ২০১৮ সালে আফগানদের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হওয়ার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। এবার আমিরাতের মাঠে সাত বছর আগের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার বদলা নেওয়ার সুযোগ এসেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের সামনে। আজ জিততে পারলেই সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে শঙ্কা থাকছে। কেননা, প্রথম ম্যাচে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ১০৯ রানের যে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন, তাদের পথ অনুসরণ করতে পারেননি অন্য ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার পর মাত্র ৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানোর মতো ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটসম্যানরা আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারেননি। জয়ের জন্য আফগানদের দেওয়া ১৪৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’র মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখানে উত্তরণ হলেও ধারাবাহিক বিরতিতে একের পর এক উইকেটের পতন হওয়ায় ম্যাচ কঠিন হয়েছে। বোলার শরিফুল ইসলাম যদি শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে কারিশমা না দেখাতেন, তাহলে হয়তো হারের তিতকুটে স্বাদও পেতে পারত বাংলাদেশ। তাই সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দিকেই বেশি নজর দেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের শুধরে সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে জয় পাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টায় থাকবে রশিদ খানের দল আফগানিস্তান। কেননা, টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরই শুরু হবে দুই দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজে অন্তত একটি জয় নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের লড়াইয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে আফগানরা। তাই গত দুই ম্যাচের হতাশা ভুলে নতুন শুরুর দিকেই নজর থাকবে তাদের। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিও বাড়তি উত্তাপ ও উত্তেজনার ঝাঁজ ছড়াবে এবং উপভোগ্য একটি ম্যাচ উপহার দেবে দুই দল। এই প্রত্যাশায় ক্রিকেটপ্রেমীরাও।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন